রাহুল মজুমদার ও সাগর বাগচী, শিলিগুড়ি: ২৮ তারিখ শহরে পদযাত্রা এবং সভা রয়েছে রাহুল গান্ধি সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের। তার পরদিনই ফুলবাড়িতে (Fulbari) কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পরপর দু’দিন দুই হেভিওয়েটের (Rahul Gandhi-Mamata Banerjee) কর্মসূচি সামলাতে ঘুম নেই পুলিশ ও প্রশাসনের।
রাহুল গান্ধি সহ কংগ্রেস নেতাদের নিরাপত্তায় বুধবার সকালে অসম থেকে ১০০ জন সিআরপিএফের একটি দল শিলিগুড়িতে (Siliguri) পৌঁছেছে। রাহুলের (Rahul Gandhi) নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিকিউরিটি জেনারেল শহরের থানা মোড়, এয়ারভিউ মোড়, বাগডোগরার বিহার মোড় সহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর জন্যে প্রস্তুত হেলিপ্যাড এবং সভাস্থল দেখতে বুধবার ফুলবাড়ির ভিডিওকন গ্রাউন্ডে যান জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন এবং শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা। জলপাইগুড়ির জেলা শাসক, শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ কমিশনার জানান, মুখ্যমন্ত্রীর সফর নিয়ে এখনও সব চূড়ান্ত হয়নি।
নির্ধারিত সূচি বদলে ২৫ জানুয়ারি ফালাকাটায় (Falakata) রাহুল রাতে থাকবেন না। তিনি খাগড়াবাড়ি ও ফালাকাটা হয়ে চলে আসবেন বাগডোগরায়। সেখান থেকে বিমানে দিল্লি চলে যাবেন। ২৮ তারিখ সকালে ফিরে তিনি আবার ফালাকাটা থেকেই ন্যায় যাত্রায় যোগ দেবেন।
২৮ তারিখ কংগ্রেসের ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা শিলিগুড়িতে প্রবেশ করছে। এয়ারভিউ মোড়ে রাহুল গান্ধির সভা করার কথা। সেখানে জয়রাম রমেশ, কেসি বেণুগোপালের মতো নেতারা থাকবেন।
এদিকে ২৯ তারিখ পাঁচদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে আসার কথা মুখ্যমন্ত্রীর (Cm Mamata Banerjee)। বাগডোগরা থেকে হেলিকপ্টারে ফুলবাড়ি ভিডিওকনের মাঠে নেমে পাশের মাঠে আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার মানুষকে তিনি পাট্টা বিলি করবেন। এরপর কোচবিহারে যাওয়ার কথা তাঁর। সেখানে ৩০ তারিখ প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেবেন।
কোচবিহারের (Cooch behar) পর দুই দিনাজপুরে যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে জেলার প্রশাসনিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর দক্ষিণ দিনাজপুরে প্রশাসনিক বৈঠক করে ২ তারিখ কলকাতায় ফিরবেন তিনি।
বুধবার থেকেই ভিডিওকন গ্রাউন্ড সাফাই শুরু হয়েছে। চারপাশের সীমানা প্রাচীরে নীল-সাদার প্রলেপ পড়েছে। কোন দিক থেকে কোন গাড়ি ঢুকবে, মুখ্যমন্ত্রী কোন দিক দিয়ে প্রবেশ করবেন, সেই সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখেছেন প্রশাসনের কর্তারা।