বাগডোগরাঃ চোপড়া (Chopra) যাওয়ার পথে বাগডোগরায় (Bagdogra) অনুগামীদের জন্য এক মিনিটের জন্য দাঁড়ালেন রাহুল গান্ধি। এদিন রাহুলকে (Rahul Gandhi) দেখার জন্য এশিয়ান হাইওয়ের পাশে জমায়েত হয়েছিলেন প্রচুর সংখ্যক মানুষ। বাগডোগরার বিহার মোড়ে একটি মঞ্চও বাধা হয়েছিল রাহুলের জন্য। কংগ্রেসকর্মীরা ভেবেছিলেন ভারত জোরো যাত্রায় বাগডোগরায় এসে মঞ্চে বক্তব্য রাখবেন রাহুল। কিন্তু আশাহত হতে হয় কর্মী সমর্থকদের।
এদিন বিকেল চারটা থেকেই রাহুলকে দেখার জন্য বাগডোগরায় রাস্তার দুপারে ভিড় জমান প্রচুর মানুষ। বিকেল চারটা থেকেই দলে দলে কর্মীরা আসতে শুরু করেন বাগডোগরা বিহার মোড়ে। সেখানে শুধু কংগ্রেস কর্মীরাই নয়, লালপতাকা হাতে ভিড় জমায় বামপন্থী নেতা কর্মীরাও। রাহুলের ভারত জোরো যাত্রা উপলক্ষ্যে ব্যানার ফেস্টুন পতাকায় সাজিয়ে তোলা হয় এলাকা। শিলিগুড়ির কর্মসূচি শেষ করে এদিন সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বাগডোগরায় পৌঁছায় রাহুলের কনভয়। সেই সময় রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানুষ। মঞ্চের পাশ দিয়ে কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে চলে যান রাহুল। কিছুটা যেতেই রাহুলের কনভয় দাঁড়িয়ে যায় মঞ্চের খানিকটা পিছনে। এরপরই তিনি গাড়ি থেকে নেমে সোজা চলে আসেন মঞ্চে। মঞ্চে উঠেই তিনি আগত নেতা কর্মী সমর্থকদের ধন্যবাদ জানান তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য। মিনিট খানিক সময় কাটিয়ে সেখান থেকে বিদায় নিয়ে ফের তাঁর যাত্রা শুরু হয় চোপড়ার উদ্দেশ্যে। এদিন রাহুলকে দেখার জন্য বিহার মোড়ে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।
রাহুল বেরিয়ে যেতেই মঞ্চ উঠে নকশালবাড়ি ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি অমিতাভ সরকার বলেন, এখানে এশিয়ান হাইওয়ে রয়েছে। প্রচুর মানুষের সমাগম হয়েছে। এজন্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসপিজি রাহুলকে এখানে বেশি সময় থাকা নিরাপদ মনে করছেন না। তাই নিরাপত্তার কারণেই চলে যেতে হল রাহুলকে।