সুভাষ বর্মন, পলাশবাড়ি: ৩৬ বছর পর বাবার আসা মাঠটায় কি পা রাখবেন ছেলে? সময়টা ১৯৮৭। পলাশবাড়ির শিলতোর্ষা নদীর ধারে ঘাটপাড়ে কদম বাগানে হঠাৎ এসে দাঁড়িয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধি। সেই সময় থেকেই এখানকার গ্রামীণ বাজারের নাম হয় রাজীব গান্ধির হাট। প্রধানমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে ছোট্ট জনপদের বাসিন্দারা অনুরোধ জানিয়েছিলেন শিলতোর্ষায় একটা পাকা সেতু করে দেওয়ার জন্য। বৃহস্পতিবার ফালাকাটায় আসছেন রাহুল গান্ধি। স্থানীয়দের দাবি, রাহুলও এই পথে একবার আসুন।
যদিও রাগার রুট (Route) বদলের সম্ভাবনা নেই বলে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়েছে। কংগ্রেসের আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলা কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি শান্তনু দেবনাথের কথায়, ‘পলাশবাড়ির এই আবেগকে সম্মান জানাচ্ছি। কিন্তু এখন কোনওভাবেই রুট বদল হচ্ছে না। পুণ্ডিবাড়ি, ঘোকসাডাঙ্গা হয়েই রাহুল ফালাকাটায় পৌঁছোবেন।’
পলাশবাড়ির মানুষ অবশ্য চাইছেন, রুট বদল হোক রাগার। মঙ্গলবার দলীয় কার্যালয়ের সামনে দলের জেলা কমিটির সদস্য মণীন্দ্রনাথ সরকার, পূর্ব কাঁঠালবাড়ি অঞ্চল সভাপতি রাজেন্দ্র নার্জিনারিকে অনেকেই রাজীবের আসার কথা স্মরণ করিয়ে দেন।
বছর ৭৮-এর মণীন্দ্রনাথ দিব্যি মনে করতে পারেন, ‘রাজীব গান্ধি সস্ত্রীক ঘাটপাড়ে এসেছিলেন। হঠাৎই গাড়ি ঘুরিয়ে চলে এসেছিলেন এই রাস্তায়। রাজীব-পুত্রের যাত্রাও যেন এই রুটে হয়, আমরা দলের উপরমহলে সেই আবেদন জানিয়েছি।’
স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক নবীনচন্দ্র বর্মনের কথায়, ‘আমি তখন সাইকেল চালিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে গিয়েছিলাম। তাঁর স্মরণে এখনও রাজীব গান্ধি হাট চলছে। তাই রাহুলও যদি এই পথে আসেন তাহলে আমরা ভীষণ খুশি হতাম।’ স্থানীয় ব্যবসায়ী রতন ঘোষ বলেন, ‘রাজীব গান্ধি আমার মাথায় হাত বুলিয়েছিলেন। ছোট ছিলাম তখন। তবু সেই কথা মনে আছে।’
পরবর্তীতে শিলতোর্ষায় পাকা সেতুর উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। ২০০২ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য পাকা সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন।