বক্সিরহাট: রাহুল গান্ধির সভামঞ্চ তৈরিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। তবে শেষ পর্যন্ত বুধবার নতুন করে শুরু হয়েছে মঞ্চ তৈরির কাজ। প্রস্তুতিপর্ব খতিয়ে দেখতে এদিন অসম-বাংলা সীমানার বক্সিরহাটের জোড়াই মোড়ে আসেন কংগ্রেসের রাজ্য ও প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে অসম-বাংলা সীমানায় আসেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও।
কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ, রাহুল গান্ধিকে স্বাগত জানাতে অসম-বাংলা সীমানা লাগোয়া জাতীয় সড়কের একধারে চলছিল সভামঞ্চ তৈরির কাজ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মঞ্চ তৈরিতে বাধা দেয় বক্সিরহাট থানার পুলিশ। সেসময় পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন কংগ্রেস নেতারা। যদিও পুলিশি বাধার কারণে শেষ পর্যন্ত জাতীয় সড়ক থেকে মঞ্চ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যদিও এদিন সকালে জোড়াইমোড় এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে একটি ফাঁকা জায়গায় নতুন করে শুরু হয়েছে মঞ্চ তৈরির কাজ। বক্সিরহাট থানার পুলিশ জানিয়েছে, জাতীয় সড়কের এক লেন বন্ধ করে চলছিল মঞ্চ তৈরির কাজ। এতে জাতীয় সড়কে যানজট তৈরির আশঙ্কা থেকে যাচ্ছিল। সেই সঙ্গে নিরাপত্তারও ব্যাঘাত ঘটবে। তাই রাস্তার উলটো দিকে ফাঁকা জায়গায় মঞ্চ তৈরি করতে বলে হয়েছে।
মণিপুর থেকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি ন্যায় যাত্রা শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার বাংলায় প্রবেশ করবে ন্যায় যাত্রা। রাহুল গান্ধিকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি তুঙ্গে অসম-বাংলা সীমানায়। উত্তরবঙ্গের ভাওয়াইয়া ও বৈরাতি নৃত্যের মাধ্যমে অসম থেকে বাংলায় স্বাগত জানানো হবে রাহুল গান্ধিকে। তাঁকে স্বাগত জানাবেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী সহ অন্যান্য নেতারা। সেই উপলক্ষ্যে বক্সিরহাটের জোড়াই মোড়ে একটি সভা হবে। ওই সভায় বক্তব্য রাখবেন রাহুল ও অধীর। পরে সীমানা থেকে কাসিয়াবাড়ি বাজার পর্যন্ত রাহুল গান্ধি হাঁটা শুরু করবেন। সেখান থেকে তুফানগঞ্জের জিগনিতলা এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে তিনি দুপুরের খাবার খাবেন সকলের সঙ্গে। সেখান থেকে কোচবিহার হয়ে ফালাকাটার উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন।