রায়গঞ্জ: দেবীর মূর্তি তৈরি করা হয় সূর্য ডোবার পর। আবার দেবীর বিসর্জনও হয় পরদিন সূর্যোদয়ের আগে। অর্থাৎ মা কালী সূর্যের মুখ দেখবেন না। কয়েকশো বছর ধরে এমনই নিয়ম চলে আসছে রায়গঞ্জের দেবীনগর কালী মন্দিরে। এবছরও সেই নিয়মের অন্যথা হয়নি। এখানকার দেবী ভীষণ জাগ্রত বলে মনে করেন সকলেই। প্রতি বছরের মতো এবছরও পুজোর সন্ধ্যা থেকে ভক্তদের ব্যাপক ভীড় লক্ষ্য করা যায়। গভীর রাত অবধি পুজো চলে। শেষে ভোর চারটা নাগাদ সূর্য ওঠার আগেই দেবীকে বিসর্জন দেওয়া হয় কান্তনগর এলাকার ঘাটে। কাঁধে করে দেবীকে বিসর্জনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেই বিসর্জনেও অসংখ্য ভক্তবৃন্দের ভীড় লক্ষ্য করা যায়।
প্রসঙ্গত, দেবীকে যে মন্দিরে পুজো করা হয় সেই মন্দির প্রাচীর দিয়ে ঘেরা থাকলেও মন্দিরে নেই কোনও ছাদ। কথিত আছে, দেবীর আদেশেই মন্দিরে কোনও ছাদ নেই। আর এমনটাই জানান পুজো কমিটির সদস্যরা। কথিত আছে, এই অঞ্চল ছিল ঘন জঙ্গলে ঘেরা। পূর্বে ডাকাতরা এখানে পুজো দিতেন। এরপর দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে জমিদার গিরিজানাথ এই মন্দির তৈরি করে দেন। প্রতি বছরই জেলার বাইরে ভিন রাজ্য থেকেও এখানে ভক্তদের সমাগম ঘটে।