রায়গঞ্জ: বকেয়া বেতন, পেনশন, গ্র্যাচুইটি ও বোনাসের দাবিতে আন্দোলনে নামল রায়গঞ্জ পুরসভার শাসকদলের কর্মচারী সংগঠনের সদস্যরা। অভিযোগ, অস্থায়ী কর্মীরা দু’মাস ধরে যেমন বেতন পাচ্ছেন না, তেমনি অবসরপ্রাপ্তরা নভেম্বর মাস ধরে তিন মাসের পেনশন পাচ্ছেন না।
পুজোর আগে পুর কর্তৃপক্ষ ছটপুজোর আগে কর্মচারীদের দ্বিতীয় কিস্তি বোনাস দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও সেই বকেয়া বোনাস তাদের দেওয়া হয়নি। এমনকি অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের গ্র্যাচুইটির টাকা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ এনে এদিন সরব হন কর্মচারী সংগঠনের নেতৃত্ব। তারা রায়গঞ্জ পুরসভার ব্যর্থতাকে এজন্য দায়ী করেছেন। সেই সঙ্গে এদিন রায়গঞ্জ পুরসভার কর্মচারী ফেডারেশনের সম্পাদক শম্ভু ঘোষ অভিযোগ করেন, আমাদের সংগঠনের এক শ্রেণির নেতা চাকরি দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে টাকা তুলেছেন। এরা নিয়মিত পুরসভায় আসেনা। সংগঠনের উচ্চস্থানে বসে তারা আমাদের দাবি দাওয়ার আন্দোলনকে বন্ধ করতে চাইছে। তাই এদের থেকে দূরে থাকার জন্য পরামর্শ দেন তিনি। আজ গেট মিটিংয়ের মাধ্যমে আমরা দাবি জানালাম, এরপর বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।
রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারপার্সন সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, আমার অনুমতি নিয়ে গেট মিটিং করছে। গণতান্ত্রিক দেশে গেট মিটিং করা, শ্লোগান দেওয়া এটা আইনের মধ্যে পড়ে। টাকার অভাবের জন্য বেতন, পেনশন দিতে পাচ্ছি না। ট্যাক্স কালেক্টররা নিয়মিত রসিদ কাটতে পারছে না বলেই টাকা আসছে না। টাকা রাস্তায় পড়ে আছে। কর্মচারীদের একাংশের গাফিলতি আছে। ইতিমধ্যে ইউনিয়নের সঙ্গে বসেছি। বকেয়া ২৩০০ টাকা বোনাস দিতে গেলে কমপক্ষে ২০ লক্ষ টাকা লাগবে। এই টাকা জোগাড় হলে দেওয়া হবে। এক শ্রেণির কর্মচারীকে এখনও বেতন দিতে পারিনি। তাই যারা আন্দোলন করছে তাদের দাবি নায্য।