উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাতের অন্ধকারে শিলিগুড়ি সেবক রোডের রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখলের চেষ্টায় তোলপাড় গোটা বাংলা। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে নিন্দার ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনার পর পুলিশ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করলেও মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায় এখনও ফেরার। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে জোড় তৎপরতা শুরু করেছে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি)। এবার সেই অভিযানে বড় সাফল্য পেল পুলিশ। কলকাতার একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কেজিএফ গ্যাংয়ের অন্যতম সদস্য আমন ঘোষ ওরফে মনোজকে। পুলিশ সূত্রে খবর, রামকৃষ্ণ মিশনে হামলা-সহ একাধিক অপরাধমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে মনোজ সরাসরি জড়িত। এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায় অধরা থাকলেও ঘটনায় মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৬।
অভিযোগ, রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখল করতে এই কেজিএফ গ্রুপকেই কাজে লাগিয়েছিল মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায়। ঘটনার পরদিন সকালে রামকৃষ্ণ মিশনের তরফে শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হলেও প্রথমে সেভাবে গা লাগায়নি পুলিশ। মিশনের বক্তব্য, শিলিগুড়ির ‘সেবক হাউস’ নামে একটি বাড়িতে মিশনের কয়েক জন সন্ন্যাসী থাকেন। শনিবার রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ ৩০-৩৫ জন দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে জোর সেখানে ঢুকে সন্ন্যাসীদের উপর চড়াও হয়। তাঁদের শারীরিক নিগ্রহ করে বাড়ির বাইরে বার করে দেওয়া হয়। শুধু তা-ই নয়, পাঁচ সন্ন্যাসী ও বাড়িটির নিরাপত্তারক্ষীদের তুলে নিয়ে গিয়ে নিউ জলপাইগুড়ি রেলস্টেশনের সংলগ্ন এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এই ‘দুষ্কৃতী হামলা’র ঘটনার দুদিন পর সক্রিয় হয় পুলিশ। তারপরই শম্ভু দাস, দেবাশিস সরকার, শম্ভু মাহাতো, শ্যামল বৈদ্য এবং রাজীব বসাককে গ্রেপ্তার করে। এরপর শিলিগুড়ি পুলিশের এসওজি কলকাতা থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে কেজিএফ গ্যাংয়ের অন্যতম সদস্য আমন ঘোষ ওরফে মনোজকে। তবে মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায় এখনও পলাতক।
