সানি সরকার, শিলিগুড়ি: কাঞ্চনজঙ্ঘার হাতছানি। গাড়িতে চেপেই সোজা ঢুকে যাওয়া স্টেশনের ভিতর। হাতে সময় থাকলে শপিং মলে কেনাকাটা সেরে নেওয়া যাবে। সুযোগ থাকছে জিমের ভিতর ঘাম ঝড়ানোরও। ইচ্ছে করলে লবিতে বসে বাইয়ের পাতায় অথবা টিভির পর্দায় নজর রাখা, সবই যেন এক ছাতার তলায়। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে প্রস্তাবিত রংপো স্টেশন (Rangpo Rail Station) নিয়ে এমন নানা পরিকল্পনা রেলের। তবে আন্তর্জাতিক সীমান্তকে গুরুত্ব দিয়ে নিরাপত্তা এবং নজরদারির ক্ষেত্রেও বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।
রেল সূত্রে খবর, একদিকে যেমন বৌদ্ধ স্থাপত্যকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে, তেমনই গুরুত্ব পাচ্ছে পর্যটন। তাই স্টেশনটিকে গুম্ফার কিছুটা রূপ দেওয়া হবে। পরিকল্পনাকে বাস্তব রূপ দিতে সোমবার ভার্চুয়ালি রংপো স্টেশনের শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। যার প্রতীক্ষায় এখন প্রহর গুনছে বাংলা-সিকিম (Bengal-Sikkim) সীমানার জনপদ।
স্টেশন কেমন হবে, কাজ হবে কীভাবে, তৈরি হতে কতদিন সময় লাগতে পারে- এমন খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে শনিবার রংপোতে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের (ইরকন) কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের পদস্থ কর্তারা। সেখানে সমস্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
এপ্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ারের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার অমরজিৎ গৌতম বলেন, ‘যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে কোনও অভাব থাকবে না। দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে এই স্টেশন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’