রায়গঞ্জঃ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক কিশোরীকে ভাড়া বাড়িতে ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকের বিরুদ্ধে। এক বছর ধরে রায়গঞ্জের মহারাজা হাট হাই স্কুলের এক একাদশ শ্রেণীর ছাত্রীর সঙ্গে রায়গঞ্জ থানার শেরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খোকসা গ্রামের বাসিন্দা বিজয় রায়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অভিযুক্ত যুবক চলতি মাসের ১০ তারিখে মহারাজা হাট এলাকায় ভাড়া বাড়িতে ডেকে নিয়ে এসে যৌন নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ। রাতভর কিশোরীর ওপর চলে যৌন হয়রানি। পরদিন রাতে অভিযুক্ত যুবক নিজের পৈত্রিক বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মেয়েটিকে নিয়ে বের হয় মোটরবাইকে। লক্ষনীয়া এলাকায় পৌঁছে রাজ্যসড়কের পাশে মেয়েটিকে ফেলেই পালিয়ে যায় বলেও অভিযোগ।
অভিযুক্ত যুবক বিজয় রায় পালিয়ে যেতে সেখানেই কান্না জুড়ে দেন ওই কিশোরী। এলাকার বাসিন্দারা কান্নার শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এরপর খবর দেওয়া হয় ওই কিশোরীর পরিবারকে। ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন পরিবারের লোকেরা। এই ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই কিশোরীর মা সান্তনা বর্মন। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত যুবক। স্থানীয় সূত্রের খবর অভিযুক্ত বিজয় রায় রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির পকশো সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
কিশোরীর মা বলেন, ‘বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে অভিযুক্ত যুবক। আমি ওর শাস্তি চাই। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।’ ওই নির্যাতিতা কিশোরীর বক্তব্য, ‘বিয়ে করার নাম করে আমাকে ভাড়া বাড়িতে নিয়ে যায় রাতভর একসঙ্গে থাকি, আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে, তার আগে প্রচুর পরিমাণ মদ খায়। ওর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু গতকাল রাতে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার নাম করে রাস্তার ধারে বাইক থেকে ফেলে পালিয়ে যায়। আমার সঙ্গে বিজয় রায় প্রতারণা করছে। আমি ওর শাস্তি চাই।’