মালদা: ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠানকে ঘিরে বচসা। বচসাকে কেন্দ্র করে স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের মারধরের অভিযোগ উঠল পরিচালন কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে। যিনি আবার অঞ্চল তৃণমূলের (Trinamool) সভাপতি এবং এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা। এরপরেই কার্যত রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। আসেন মহকুমার পুলিশ আধিকারিক এবং র্যাফ। পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয় বলে অভিযোগ। বিক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা ভাঙচুর চালায়। দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। রক্ত ঝড়ে পড়ুয়াদের। আঘাতপ্রাপ্ত হন একজন পুলিশকর্মীও। বৃহস্পতিবার রতুয়ার (Ratua) ভাদোর বিএসবি হাইস্কুলের (Bhado B.S.B High School) ঘটনায় স্তম্ভিত শিক্ষামহল।
দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের অভিযোগ, ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠানের (Farewell programme) জন্য ছাত্রদের থেকে চাঁদা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই অনুষ্ঠান হচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার পড়ুয়ারা অ্যাডমিট নেওয়ার জন্য এলে কোনওরকম অনুষ্ঠান না করে শুধুমাত্র অ্যাডমিট দেওয়া হয় তাদের। তারপরই শুরু হয় বচসা। অভিযোগ, সেইসময় পরিচালন কমিটির সভাপতি মজিবুর রহমান দ্বাদশ শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রকে মারধর করেন। মজিবুর তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। তারপর ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিবাদ করতেই পরিস্থিতি রণক্ষেত্র হয়ে উঠে। ঘটনাস্থলে আসে রতুয়া থানার পুলিশ (Ratua police)। অভিযুক্ত পরিচালন কমিটির সভাপতি পড়ুয়াদের রোশের হাত থেকে বাঁচতে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে আশ্রয় নেন। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পরবর্তীতে স্কুলের শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় বিক্ষুব্ধ পড়ুয়া, অভিভাবক এবং এলাকাবাসীকে নিয়ে বৈঠক হয়। কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি।
দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র বুলবুল হোসেন জানায়, তাকে সভাপতি প্রথম মারধর করেছিল। এবিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামের বক্তব্য, দুপুর নাগাদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ছাত্র-ছাত্রীরা ১১.৩০টা নাগাদ চলে এসেছিল। ওদের বোঝাতে গেলে ওরা বোঝেনি। তারপর পরিচালন সমিতির সঙ্গে ওদের গণ্ডগোল হয়। খুব দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। পরিচালন কমিটির সভাপতি মজিবুর রহমানের দাবি, কয়েকজন ছাত্র প্রথম তাঁকে আক্রমণ করে। বাইরে থেকে কেউ ওদের উস্কানি দিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।