উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ মর্মান্তিক পরিণতি রাশিয়ার চন্দ্রযান লুনা-২৫ এর। ভারতীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ চাঁদের মাটিতে ভেঙে পড়ে রাশিয়ার চন্দ্রযান। সোমবারই চাঁদের মাটিতে নামার কথা ছিল লুনার। তার আগেই এমন ঘটনায় হতাশ রাশিয়ার মহকাশ বিজ্ঞানীরা। উৎক্ষেপণের ১০ দিনের মাথাতেই রাশিয়ার চন্দ্রযান একেবারে ধ্বংস হয়ে গেল। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান পাঠাতে ভারতের যেখানে সময় লাগছে ৪২ দিন সেখানে মাত্র ১২ দিনের যাত্রায় চাঁদের মাটি ছোঁয়ার পরিকল্পনা ছিল রাশিয়ার। বেপরোয়া গতিই কি কাল হল রাশিয়ার? শুরু হয়েছে বিস্তর আলোচনা।
উৎক্ষেপণের ১০ দিনের মাথাতেই রাশিয়ার চন্দ্রযান একেবারে ধ্বংস হয়ে গেল। চাঁদে নামার আগে শনিবার ল্যান্ডার লুনা ২৫-র শেষ ল্যাপের কক্ষপথে প্রবেশের কথা ছিল। যার পোশাকি নাম প্রি ল্যান্ডিং ওরবিট। তা আর হল না। এর পরই সেটি নিয়ন্ত্রণ হারায় বলে অনুমান। চন্দ্রাভিযান বিফল হওয়ার কারণ নিয়ে খোলসা করছে না রুশ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমস। মহাকাশ বিজ্ঞানীদের অনেকেই মনে করছেন, শর্টকাটে তাড়াতাড়ি ভারতের আগে চাঁদে মহাকাশযান নামানোর লক্ষ্য ছিল রাশিয়ার। বিপদ হয়েছে সেখানেই। ভারতের মতো ডিবুস্টিং করে গতি কমানোর প্রক্রিয়াতেই যায়নি রাশিয়া। সরাসরি থ্রাস্ট দিয়ে গতি বাড়িয়ে চাঁদের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছিল লুনাকে। সেখানেই ভুল করে ফেলেছে রাশিয়া। চাঁদের আকর্ষণের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পেরেই হয়ত যান্ত্রিক ত্রুটি হয় রুশ চন্দ্রযানে। আর তাঁর ফলেই ভেঙে পড়ে লুনা-২৫। তাছাড়া রাশিয়ার চন্দ্রযানে কম জ্বালানী ব্যবহার করা হয়েছে ভারতের চন্দ্রযানের তুলনায়।
এদিকে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের দাবী, লুনা-২৫ এর তুলনায় অনেক বেশি উন্নত ভারতের চন্দ্রযান। রয়েছে লুনার থেকেও বেশি আধুনিক যন্ত্রপাতি। ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যদি গতিবেগের কারণে চাঁদের পিঠে নামতে দেরি হয়, সে কারণে অতিরিক্ত জ্বালানি ভরে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে বিকল্প কোনও জায়গাতেও নামতে পারে ল্যান্ডার বিক্রম। চন্দ্রযানে আছে লেসার ডপলার ভেলোসিটি মিটার সেন্সার। তিনটি ভেলোসিটি ভেক্টরও আছে ল্যান্ডারে। আছে উন্নতমানের ক্যামেরা ল্যান্ডার হরাইজন্টাল ভেলোসিটি ক্যামেরা এবং ল্যান্ডার পজিশন ডিটেকশন ক্যামের। মোট ১৩টি ‘থ্রাস্টার’ রয়েছে, যা সফট ল্যান্ডিং করতে সাহায্য করবে।