উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় যখন তোলপাড় রাজ্য, ঠিক সেসময়ই অন্ধ্রপ্রদেশে রহস্যমৃত্যু হল বাংলার এক কিশোরীর। ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে অন্ধ্রপ্রদেশে গিয়েছিল টালিগঞ্জের রীতি সাহা। কিন্তু পরীক্ষায় বসার আগেই মৃত্যু হয় তার। ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি হস্টেল কর্তৃপক্ষের। যদিও সেই দাবি মানতে নারাজ কিশোরীর পরিবার। কিশোরীকে খুন করা হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।
নিট পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতেই মেয়েকে ভিনরাজ্যে পাঠিয়েছিল পরিবার। অন্ধ্রপ্রদেশের একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলছিল প্রস্তুতি। সূত্রের খবর, গত ১৪ জুলাই রীতির বাবাকে ফোন করে এই প্রতিষ্ঠান থেকে জানানো হয়, মেয়ে চারতলার ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছে। যদিও ওই ফোনেই হস্টেলের ওয়ার্ডেন জানান, ছাদ নয়, সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়েছে রীতি।
এদিকে, খবর পেয়েই পরের দিন সকালে অন্ধ্রপ্রদেশে রওনা দেন পরিবারের সদস্যরা। সেখানে পৌঁছে তাঁরা দেখেন, প্রায় বিনা চিকিৎসায় পড়ে রয়েছে রীতি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা মেয়েকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যান। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। শেষ রক্ষা আর হয়নি। ১৬ তারিখ দুপুরেই মারা যায় রীতি। পরিবারের দাবি, রীতি পড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে তাঁদের পরিচিতরা হাসপাতালে গিয়েছিলেন। ভিডিও কল করেও রীতিকে দেখিয়েছিলেন। রীতির তখনও জ্ঞান ছিল। আস্তে আস্তে কথাও বলছিল। অভিযোগ, তখন পুলিশ এসে তার কোনও বয়ান রেকর্ড করেনি। কিন্তু মেয়ে অচৈতন্য অবস্থায় চলে যাওয়ার পরেই ঘটনাটিকে আত্মহত্যা করে চালাতে সচেষ্ট হয় পুলিশ। মেয়ের শেষকৃত্য শেষেই সোজা দ্বারস্থ হন কর্ণাটক হাইকোর্টে। শেষ পর্যন্ত কোর্ট অর্ডারেই শুরু হয়েছ তদন্ত।