কলকাতা: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারই তাঁকে নোটিশ পাঠিয়েছে ইডি। কুন্তল ঘোষের চিঠি ছাড়াও একাধিক তথ্যকে সামনে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে তাঁকে তলব করেছিল সিবিআই। রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদের দিনই ইডি নোটিশ পাঠাল অভিষেককে। পাশাপাশি পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণার দিনই নোটিশ পাঠানো হল তাঁকে। ‘কালীঘাটের কাকু’র হেপাজত শেষের একদিন আগে অভিষেককে ডাকা হয়েছে।
এদিনই কয়লা পাচার কাণ্ডে প্রায় চার ঘণ্টা অভিষেকের স্ত্রী রুজিরাকে জেরা করে ইডি। তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে জেরা করা হয়। সম্প্রতি কলকাতা বিমানবন্দরে আটকানো হয়েছিল অভিষেক পত্নীকে। দুবাইয়ের বিমান ধরার জন্য দুই সন্তান সহ কলকাতা বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিমান ধরার আগেই অভিবাসন দপ্তরের কর্মীরা রুজিরাকে আটকে দেন। এরপর এদিন তাঁকে জেরা করা হয়। রুজিরাকে জেরার কিছুক্ষণ পরই অভিষেককে নোটিশ পাঠাল ইডি।
সম্প্রতি, কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় অভিষেককে তলব করেছিল সিবিআই। টানা প্রায় ১০ ঘণ্টা দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই আধিকারিকরা। নিজাম প্যালেস থেকে বের হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘আমি সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। জিজ্ঞাসাবাদের নির্যাস শূন্য। এতে আমারও সময় নষ্ট, ইডিরও সময় নষ্ট।’ এরপরই গেরুয়া শিবিরের উদ্দেশ্যে তোপ দেগে তৃণমূল নেতা বলেন, ‘প্রথম থেকে আমাকে টার্গেট করা হয়েছে। ইডি-সিবিআইকে দিয়ে ধমকানোর চেষ্টা হচ্ছে। বিজেপির জন্য এক আইন আমার জন্য অন্য আইন।’ অভিষেকের হুঁশিয়ারি, ‘আমি দিল্লির পোষা কুকুর হয়ে থাকব না। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার হয়ে থাকব। আমরা বশ্যতা স্বীকার করব না। আমাকে ডাকাডাকি বন্ধ করুন। আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ থাকলে আমায় গ্রেপ্তার করুন।’ অভিষেকের কটাক্ষ, ‘সব চোর, দুর্নীতিগ্রস্ত বিজেপির সম্পদ।’ এবার ফের তাঁকে তলব করা হল, তবে এবার তাঁকে তলব করল ইডি।