নাগরাকাটা: ডায়নার দাপটে বিপন্ন নাগরাকাটার খেরকাটা গ্রাম। অন্যদিকে, কূর্তিঝোরার দাপটে আতঙ্ক ছড়িয়েছে নাগরাকাটা পার্ক লাগোয়া এলাকায়। পার্কের গা ঘেঁষে বয়ে গিয়েছে এই ঝোরা। রবিবার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ১২ ঘণ্টার বৃষ্টিতে দুই নদীতে জল বেড়েছে। নদীর এই ভয়ঙ্কর রূপ দেখে আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা।
মঙ্গলবার খেরকাটা পরিদর্শনে যান সেচ দপ্তরের জলপাইগুড়ির এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার দেবব্রত দত্ত, বানারহাট মহকুমা সেচ আধিকারিক গৌরব ভৌমিক সহ অন্য কর্তারা।
সেচ দপ্তর জানিয়েছে, যেখান থেকে জল ঢুকছে সেই স্থানে জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু হয়েছে। খেরকাটাতে ২.৪ কিলোমিটারের একটি বাঁধের কাজ চলছে। বর্ষার কারণে শেষ করতে দেরি হচ্ছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই বাঁধের কাজ শেষের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। সেটা হয়ে গেলে গ্রামটি সুরক্ষিত থাকবে।
নাগরাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঞ্জয় কুজুর বলেন, ‘এদিন নিজে গিয়ে খেরকাটার পরিস্থিতি দেখে এসেছি। সেখানে ডায়না নদীর জল উপচে গ্রামের দিকে ঢোকা শুরু করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জোরকদমে কাজ শুরু হয়েছে।’
অন্যদিকে, কূর্তিঝোরা রবিবার রাতে নাগরাকাটা পার্কের ডান পাশের সীমানা প্রাচীরের কিছু অংশ ভাসিয়ে নিয়ে যায়। একাধিক গাছ, বেশ কিছু জমিরও এখন আর অস্তিত্ব নেই। স্থানীয় বাসিন্দা বরুণ মজুমদার বলেন, ‘ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। এককথায় নদী এখন পার্কের ভেতর ঢুকে পড়েছে। দ্রুত পদক্ষেপ করা প্রয়োজন।’
এবিষয়ে সেচ দপ্তরের বানারহাটের মহকুমা আধিকারিক গৌরব ভৌমিক জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঞ্জয় কুজুরের বক্তব্য, পার্ক রক্ষায় অবশ্যই পদক্ষেপ করা হবে।