শিলিগুড়ি: যৌথ অভিযান চালিয়ে পাচারের আগে ৮০টি সোনার বিস্কুট সহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করল কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তর ও জিএসটি কমিশনারেটের আধিকারিকরা। বাজেয়াপ্ত সোনা ট্রেনে করে কোচবিহার থেকে কলকাতায় পাচার করা হচ্ছিল। এনজেপি স্টেশন থেকে তাদের ধরা হয়। ধৃতরা কোচবিহারের বাসিন্দা নুর মহম্মদ মিয়াঁ, রেজাউল হক, দেলবার মিয়াঁ, মেহেবুব হাসান, রেজাউল রহমান, রাসেন হক, সাহানুর হক ও রুবেল হাসান। অভিযুক্তদের কাছ থেকে ৯ কেজি ৫৪৩ গ্রাম সোনা উদ্ধার হয়েছে, যার বাজারমূল্য ৫ কোটি ৫৯ লক্ষ ৬০ হাজার ৯৭৩ টাকা।
জানা গিয়েছে, ধৃতরা চারটি দলে ভাগ হয়ে কোচবিহার থেকে তিনটি আলাদা ট্রেনে সোমবার রওনা দেয়। যার মধ্যে নুর মহম্মদ এবং দেলবার মিয়াঁ সরাইঘাট এক্সপ্রেসে, সাহানুর হক এবং রুবেল হাসান উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসে ও রেজাউল হক, রেজাউল রহমান, মেহেবুব হাসান এবং রাসেল হক উঠেছিল পদাতিক এক্সপ্রেসে। কিন্তু গোয়ন্দাদের কাছে আগাম খবর ছিল বিপুল পরিমাণ সোনা তিনটি ট্রেনে করে ৮ জন কলকাতা পাচার করছে। সেইমতো গোয়েন্দারা আলাদাভাবে দল করে ফাঁদ পেতে অপেক্ষা করছিলেন। ট্রেন তিনটি নির্দিষ্ট সময়ে এনজেপি স্টেশনে পৌঁছোলে সন্দেহভাজনদের ধরে ফেলা হয়। এরপর কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তরের শিলিগুড়ির অফিসে তাদের নিয়ে এসে তল্লাশি চালাতেই ওই বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধার হয়।
অভিযুক্ত প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০টি করে সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়েছে। প্যান্টের মধ্যে বিশেষ পকেট বানিয়ে সোনার বিস্কুটগুলি নিয়ে আসা হচ্ছিল। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, একটি বড় চক্র পাচারের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। উদ্ধার হওয়া সোনা সুইডেনের হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ধৃতদের মঙ্গলবার শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়। কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তরের আইনজীবি রতন বনিক জানান, ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। বাজেয়াপ্ত করা সোনার বিস্কুটগুলি বিদেশ থেকে পাচার করে নিয়ে আসা হয়েছিল। কলকাতায় ওই সোনা কোথায় পাচারের কথা ছিল, তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।