সামসী: দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল চাঁচল-২ ব্লকের গৌড়হন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনারায়-বোয়ালিয়া থেকে চাঁচল সদর পর্যন্ত যাওয়ার প্রায় আট কিমি রাস্তা। দীর্ঘদিন ধরেই রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য একাধিকবার স্থানীয় ও ব্লক প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু এব্যাপারে পঞ্চায়েত, ব্লক, জেলা প্রশাসন কারও কোনও হেলদোল নেই। ইতিমধ্যেই দ্রুত রাস্তাটি মেরামত করে চলাচলের উপযুক্ত করে তলার দাবিতে সরব হয়েছেন স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী মোতাহার হোসেন জানান, ২০১২-১৩ সালে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের বরাদ্দকৃত অর্থে পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছিল। প্রায় দশ বছর হয়ে গেল তারপর থেকে রাস্তাটির আর কোনও সংস্কার করা হয়নি। বর্তমানে এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির বেহাল দশা। প্রায় আট কিমি দীর্ঘ এই রাস্তার বেশিরভাগই পিচ উঠে গিয়েছে। বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দে ভর্তি। এই বেহাল রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে সাধারণ মানুষ, স্কুল পড়ুয়া, অফিস যাত্রীদের প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
চাঁচল মহকুমা সদরে যাওয়ার জন্য চাঁচল-২ ব্লকের ধানগাড়া-বিষণপুর, ক্ষেমপুর, গৌড়হন্ড গ্রাম পঞ্চায়েত সহ হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের নির্ভর করতে হয় এই রাস্তার উপর। এই রাস্তা অতিক্রম করে সোনারায়-বোয়ালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, সোনারায় প্রাথমিক বিদ্যালয় যেতে হয় পড়ুয়াদের। মহকুমা সদরে বিভিন্ন সরকারি অফিস, স্কুল, কলেজ ও হাসপাতালে যাওয়ার জন্য মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তাই বাসিন্দারা রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান।
চাঁচল-২ এর বিডিও দিব্যজ্যোতি দাসের বলেন, রাস্তাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। বহু গ্রামের মানুষ এই রাস্তা দিয়ে চাঁচল মহকুমা সদরে যাতায়াত করেন। দীর্ঘ এই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য মোটা অঙ্কের অর্থ প্রয়োজন। ব্লক প্রশাসনের তরফে রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।
মালদা জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন বলেন, এলাকার বাসিন্দাদের দাবিমত রাস্তাটা সংস্কার করা খুবই প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হবে।