গঙ্গারামপুর: গঙ্গারামপুরে বিভিন্ন মিষ্টি ও খাবারের দোকানগুলিতে নিম্নমানের খাবার বিক্রির অভিযোগ আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। মঙ্গলবার শহরের বিভিন্ন খাবারের দোকানগুলিতে সম্মিলিতভাবে অভিযান চালালেন ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর, এনফোর্সমেন্ট, স্বাস্থ্য দপ্তর ও খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা।
এদিন প্রথমে কালদিঘি কিষাণ মাণ্ডি সংলগ্ন একটি পানীয় জলের ফ্যাক্টরিতে বিশেষ অভিযান চালানো হয়। পানীয় জলের ফ্যাক্টরির উৎপাদন পদ্ধতি, পরিচ্ছন্নতা, গুণগতমান পরীক্ষা করে দেখেন আধিকারিকরা। এরপর গঙ্গারামপুর চৌপথি ও ক্ষুদিরাম মার্কেটের সম্মুখভাগে অবস্থিত বেশ কয়েকটি মিষ্টির দোকানে ও ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালানো হয়। অধিকাংশ মিষ্টির দোকানে চরম অপরিচ্ছন্নতা ও অস্বাস্থ্যকর চিত্র ফুটে ওঠে। এছাড়া মেয়াদ উত্তীর্ণ দই সহ বিভিন্ন খাবার উদ্ধার করে তৎক্ষণাৎ ফেলে দেওয়া হয়।
গত এক বছরে গঙ্গারামপুরে বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে বিরিয়ানির দোকান। এই দোকানগুলিকে নিয়ে বিস্তর অভিযোগ শহরবাসীর। এদিন সেই বিরিয়ানির দোকানগুলিতে হানা দেন আধিকারিকরা। বিরিয়ানি তৈরির পদ্ধতি সহ ফুড লাইসেন্স খতিয়ে দেখে বেশকিছু প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়। অভিযানের শেষভাগে গঙ্গারামপুরের বিখ্যাত দইয়ের দোকানে বিশেষ অভিযান চালানো হয়। চৌপথি সংলগ্ন দোকানগুলিতে দইয়ের গুণগত মান, উৎপাদন পদ্ধতি, বিক্রির পদ্ধতি ও প্রয়োজনীয় নথি খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা। সেইসঙ্গে দইয়ের হাড়ির গায়ে নির্দিষ্ট মেয়াদ লেখার নির্দেশ দেওয়া হয়। মূলত এদিন বিভিন্ন খাবারের দোকানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কোনও দোকানদারের বিরুদ্ধে এদিন জরিমানা বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলেও সকলকে সতর্ক করে দেওয়া হয়।
এদিনের অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর বিজয় কৃষ্ণ চৌধুরী, ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মনোজিৎ রাহা, ফুড সেফটি অফিসার সোনম লামা সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। বিজয় কৃষ্ণ চৌধুরী জানান, এদিন সবাইকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। আগামীতে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।