চালসা: রাত পোহালেই লোকসভা ভোট। প্রতিবারের ন্যায় আগামীকালও নেওরা নদী পেরিয়ে ভোট দিতে আসবে মেটেলি ব্লকের ছাওয়াফেলি নদীর পার এলাকার বাসিন্দারা। ভোট আসে ভোট যায় কিন্তু তাদের এই সমস্যার সমাধান হয় না। মেটেলি ব্লকের মাটিয়ালি বাতাবাড়ি-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ছাওয়াফেলি এলাকার একপাশে রয়েছে লাটাগুড়ি বনাঞ্চল, অন্যপাশে নেওরা নদী। নেওরা নদীর পারে বসবাস প্রায় ৫০টি পরিবারের। ভোটার সংখ্যা ১৩৫ জন। প্রতি ভোটেই তাঁরা নেওরা নদী পেরিয়ে নদীর অন্য পাশে থাকা ছাওয়াফেলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায় ভোট দিতে। বর্ষার সময় নেওরা নদীতে ভরা জল থাকায় ওই এলাকার লোকজনকে মালবাজার হয়ে ঘুর পথে যাতায়াত করতে হয়। গত পঞ্চায়েত ভোটেও ওই সমস্ত এলাকার লোকজন মালবাজার হয়ে ঘুরপথে গাড়িতে এসে ছাওয়াফেলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে ভোট দেন। কিন্তু বর্তমানে নেওরা নদীতে জল কম থাকায় নদী পেরিয়েই তারা এসে ভোট দিতে পারবেন বলে জানা যায়।
ছাওয়াফেলি এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য জিনিত ওরাওঁ বলেন, ‘নেওরা নদীর ওপারে ১৩৫ জন ভোটার আছে। বর্ষায় নৌকোতে করে তাদের এপারে যাতায়াত করতে হয়। এখন নদীতে জল কম আছে। তাই অনায়াসেই এখন নদী পার হওয়া যায়। শুক্রবার ওই এলাকার বাসিন্দারা নেওরা নদীর হাঁটু জল পার করেই নদীর এপারে ভোট দিতে আসবে।
ছাওয়াফেলি নদীর পাড় এলাকার বাসিন্দা রতিশ ওরাওঁ, সাক্ষী ওরাওঁরা বলেন, ‘নেওরা নদীর পাড়ে আমাদের বাড়ি। কিন্তু ভোট দিতে যেতে হয় নদী পার করে ছাওয়াফেলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এখন নদীতে জল কম থাকায় নদী পারাপারের সমস্যা হয় না। কিন্তু বর্ষায় সমস্যায় পড়তে হয়। ছাওয়াফেলি নদীর পাড় এলাকাটির পাশেই রয়েছে মাল ব্লকের কুমলাই এলাকা। নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর জন্য বাজারঘাট কুমলাই এলাকা থেকেই করেন তারা।‘