মালবাজারঃ মাল শহরের মহাকাল পাড়ায় মাল নদীর ধারে রয়েছে শ্মশান ঘাট। গেট দিয়ে ঢুকতেই নজর পড়বে বাঁদিকে কাঠ মজুত করার ঘর ভাঙ্গা। জল কাদার মধ্যেই পড়ে রয়েছে কাঠ। প্রতীক্ষালয়ের ছাদও আগাছার পরিপূর্ণ। শৌচাগারের অবস্থাও বেহাল। ব্যবহারের উপযুক্তই নয়। কাঠে শবদাহের জন্য দুটি চুল্লি রয়েছে। তার উপরের চালও ভাঙ্গা। জল পড়ে। শব দেহ নিয়ে শ্মশানে ঢুকলেই বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। রাতে দু একটি বাদে বাতিও জ্বলছে না। মাল শহরের দুই নম্বর ওয়ার্ডের শ্মশান ঘাট বর্তমানে এমনই বেহাল দশায় রয়েছে। ঠিক পাশেই বৈদ্যুতিক চুল্লির শ্মশান রয়েছে। সম্প্রতি বজ্রবিদ্যুতে বিকল হয় একমাত্র চুল্লিও। তারপর যন্ত্রাংশ আর সারাই হয় নি। তা বন্ধই রয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন মালবাজারের বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে, ২০০৩ সালে মাল শহরে শ্মশান ঘাট টি তৈরি হয়। করোনাকালে শ্মশানঘাটে শবদাহের জন্য বসানো হয় বৈদ্যুতিক চুল্লি। তারপর থেকেই কাঠে শবদাহের সংখ্যা কমে যায়। বৈদ্যুতিক চুল্লি চালু হওয়ার পর কার্যত অগোচরেই চলে যায়। এই শ্মশান ঘাট ক্রমান্বয়ে বেহাল দশায় পর্যবসিত হয়েছে। পরিস্থিতির সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে ওয়াকিবহাল পুরসভা। শুক্রবার মাল পুরসভার পুরপ্রধান স্বপন সাহা শ্মশান ঘাটের কর্মীদের নিয়ে জরুরী ভিত্তিতে বৈঠক করেন। স্বপন বাবু বলেন, ‘আমরা দ্রুত পুরনো শ্মশান ঘাটের আমূল সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়েছি। করা হবে সৌন্দর্যায়ন। পাশাপাশি পর্যাপ্ত কাঠ মজুত রাখা এবং কাঠের ঘর সংস্কারও করা হবে। স্বপন বাবু বলেন বজ্রবিদ্যুতের জন্যই শ্মশান ঘাটের বৈদ্যুতিক চুল্লি সমস্যা দেখা গেছে। চুল্লিটি মেরামত করতে আমরা সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। শীঘ্রই তা সংস্কারের কাজ শুরু হবে।
মাল শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর মিঠু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘মালবাজারের শ্মশান ঘাটের দশা খারাপের জন্য বাসিন্দাদের সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। বর্তমানে বর্ষাকাল ফলে সমস্যা আরও বেড়েছে। আমরা শ্মশান ঘাটটি সংস্কারের আবেদন জানাচ্ছি। সাধারণ বাসিন্দারাও দ্রুত শ্মশান ঘাট সংস্কারের আবেদন জানিয়েছেন। মাল শহরের পাশের ক্ষুদিরাম পল্লী বাসিন্দা রতন ঘোষ বলেন, শোকসন্তপ্ত অবস্থায় শ্মশান ঘাট ব্যবহার হয়। শ্মশান যাত্রীদের বসার এবং সময় কাটানোর উপযুক্ত পরিবেশ থাকা প্রয়োজন। শবদাহর জন্য উপযুক্ত পর্যাপ্ত কাঠ মজুত না থাকলে রাতবিরেতে সকলকেই সমস্যা পোহাতে হয়।