চালসা: মহিলারা যখন মণ্ডপে পুজোর আয়োজন করে, সেইসময় পুজো মণ্ডপ পাহারায় মোতায়েন থাকেন এলাকার পুরুষেরা। উৎসবের দিনগুলিতে আনন্দের মাঝে কিছুটা আতঙ্ক নিয়েই কাটাতে হয় দক্ষিণ ধূপঝোরা এলাকার বাসিন্দাদের।
মেটেলি ব্লকের গরুমারা জঙ্গল লাগোয়া মূর্তি নদীর পাশে দক্ষিণ ধূপঝোরা গ্রাম। রাতের বেলা তো বটেই এমনকি দিনের বেলাতেও বন্য জন্তুদের আনাগোনা থাকে ওই এলাকায়। এই কারণে অন্যত্র গিয়ে পুজোর আনন্দ করা কার্যত অসম্ভব ওই এলাকার বাসিন্দাদের। শেষমেষ ২০২১ সাল থেকে সরকারি সহযোগিতায় ও স্থানীয়দের উদ্যোগে শুরু হয় মাতৃ সংঘের পথ চলা। মাতৃ সংঘের পরিচালনায় এই পুজোকে কেন্দ্র করেই সবাই মেতে ওঠেন। যেহেতু এলাকাটি জঙ্গল লাগোয়া এই কারণে বন্য জন্তুদের আনাগোনা লেগেই রয়েছে। কাজেই যখন এলাকার মহিলারা পুজোর কাজ করতে ব্যস্ত থাকেন সেইসময়ে পুরুষেরা মণ্ডপের চারদিকে পাহারায় থাকেন।
তৃতীয় বর্ষে পা দিল মাতৃসংঘের পুজো। চলছে মণ্ডপ তৈরির কাজ। সবেমাত্র ধান গাছ থেকে ধানের শীষ বের হওয়া শুরু করেছে। আর এরই মধ্যে হাতির উৎপাত শুরু হয়েছে ওই এলাকায়। প্রায় প্রতিদিনই রাতে গরুমারা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসছে হাতির দল। ধানখেতে হানা দিচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে পুজোকে নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত উদ্যোক্তা সহ এলাকার জনগণ।
এই পুজো কমিটির সম্পাদক দিপালী রায়, সভাপতি সুচিত্রা রায়, কোষাধ্যক্ষ রত্না রায়রা বলেন, ‘গত বছরও একই সমস্যা ছিল। পুজোর কয়েকটা দিন আমরা মহিলারা যেমন পুজো মণ্ডপের ভেতরে পুজোর আয়োজন করি, তেমনই পুরুষেরা চারিদিকে মণ্ডপ পাহারা দেয়।‘ বন দপ্তরের তরফে যাতে পুজোর সময় মণ্ডপ পাহারার ব্যবস্থা করা হয় তার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।