বর্ধমান: পথের হতশ্রী দশার কারণে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছোতে চরম নাজেহাল হতে হল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের। শুধু নাজেহাল হওয়াই নয়, কর্দমাক্ত রাস্তায় যেমন হড়কে পড়লো পরীক্ষার্থী, তেমনই জুতো হাতে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌছাতে হল অভিভাবকদের। মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam 2024) শুরুর প্রথম দিনে এমনই নানা ঘটনার ঘনঘটায় সরগরম থাকলো পূর্ব বর্ধমানের রায়নার কুকুরা অনিলাবালা উচ্চ বিদ্যালয় চত্বর। একই দিনে আবার বেহাল রাস্তার কারণে রায়নার পলাশন গ্রামে মাসির বাড়ি পৌঁছোতে হিমসিম খেতে হল রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডিকে। নিজের গাড়ি ছেড়ে কখনও টোটোয় চড়ে আবার কখনও পায়ে হেঁটে মন্ত্রী পৌঁছোলেন তাঁর মাসির বাড়ি।
মূল সড়ক পথের কাছের মোরাম রাস্তা পেরিয়ে পরীক্ষার্থীদের পৌছাতে হয় কুকুরা অনিলাবালা বিদ্যালয়ে। দীর্ঘদিন সেই রাস্তার সংস্কার না হওয়ায় গত দু’দিনের বৃষ্টিতে রাস্তাটি একেবারে কর্দমাক্ত হয়ে গিয়েছে। আর সেই কর্দমাক্ত রাস্তাই এদিন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছোতে বিড়ম্বনায় ফেলে। যা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। হাতে চটি নিয়ে বেহাল রাস্তা পার হওয়া এক আশাকর্মী জানান, পরীক্ষাকেন্দ্রে যাবার রাস্তা একেবারে কর্দমাক্ত, তাই পড়ে যাওয়ার ভয়ে চটি হাতে নিয়ে রওনা হয়েছেন। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পিন্টু মোল্লা জানান, খুব শীঘ্র রাস্তার কাজ শুরু হবে ।
এদিকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের (Madhyamik Exam 2024) মতই রাজ্যের মন্ত্রী জোস্না মাণ্ডিও বেহাল রাস্তার কারণে তাঁর মাসির বাড়ি যেতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হন। রায়না ১ ব্লকের পলাসন গ্রামে মন্ত্রী জ্যোস্না মাণ্ডির মাসির বাড়ি।
বেহাল রাস্তার কারণে নিজের গাড়িতে চড়ে মন্ত্রীর মাসির বাড়ি পৌছোতে পারেননি। বাধ্য হয়েই নিজের গাড়ি ছেড়ে কিছুটা পথ টোটোয় চড়ে, আর কিছুটা পথ পায়ে হেঁটে মন্ত্রী তাঁর গন্তব্যে পৌঁছোন। আর পলাশন গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তমান প্রধান মনিকা কোনার জানান, আগের তৃণমূল বোর্ড কেন কাজ করেনি জানা নেই, তবে বাম পরিচালিত বোর্ডের বয়স কয়েক মাস মাত্র হয়েছে।ওই এলাকার দুটোর রাস্তারই টেণ্ডার হয়ে গেছে। অসময়ের বৃষ্টির জন্য যদিও কাজ আটকে আছে, বৃষ্টি আর না হলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।
