উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ডুবে গেলেও আজও জীবিত আছে মানুষের স্মৃতির মণিকোঠায়। ১১০ বছরেরও বেশি জলের তলায় রয়েছে বিখ্যাত জাহাজ টাইটানিক। টাইটানিককে নিয়ে রয়েছে নানান গল্প। এবার আরও একবার খবরের শিরোনামে এল এই টাইটানিক জাহাজ। যা শুনলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য।
জানা গিয়েছে, সেদিনের ডুবে যাওয়া টাইটানিকের যাত্রী ছিলেন ধনকুবের জ্যাকব অ্যাস্টর। তিনি আমেরিকার বিখ্যাত অ্যাস্টর পরিবারের সদস্য। জন্ম ১৮৬৪ সালে। প্রথম জীবনে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে স্পেনীয় আমেরিকার যুদ্ধে লড়েছিলেন। পরে রিয়েল এস্টেট-সহ একাধিক ব্যবসায় নাম করেন। তিনি অন্যতম ধনী শিল্পপতি, নির্মাণকার ও বণিক হিসেবে বিশ্বজোড়া নামডাক ছিল তাঁর। ১৯১১ সালে ৪৭ বছরের অ্যাস্টর দ্বিতীয়বারের জন্য বিয়ে করেন অষ্টাদশী ম্যাডেলিনকে। ইউরোপ ও মিশর জুড়ে মধুচন্দ্রিমা পালন করেন তাঁরা। তখনই বুঝতে পারেন, ম্যাডেলিন সন্তানসম্ভবা। সন্তান যাতে আমেরিকায় জন্ম নিতে পারে, সেই আশায় তড়িঘড়ি ফেরার চিন্তাভাবনা শুরু করেন তাঁরা। উঠে বসেন টাইটানিকে। সেই রাতে তাঁর সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে লাইফবোটে সমুদ্রের জলে নামিয়ে দেন। নিজে নামতে পারেননি। স্ত্রী বেঁচে গেলেও টাইটানিকের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও মৃত্যু বরণ করেন। স্বামীর মৃত্যুর পর ম্যাডেলিন অবশ্য তারপরেও দুইবার বিয়ে করেন। হৃদরোগে ১৯৪০ সালে মৃত্যু হয় তাঁর।
পরবর্তীতে ধনকুবের অ্যাস্টরের সোনার পকেটঘড়ি উদ্ধার হয় টাইটানিক জাহাজ থেকে। এবার সেই সোনার ঘড়ি উঠল নিলামে। নিলামে দাম উঠল ৯ লক্ষ পাউন্ড স্টার্লিং। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় দাম প্রায় দশ কোটি টাকার কাছাকাছি। ট্যাক্স বা অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ ধরলে, দাম উঠতে পারে এক মিলিয়ন পাউন্ডেরও ওপরে। অন্তত এমনটাই দাবি নিলামদার অ্যান্ড্রু অলড্রিজের।
এর আগে টাইটানিক থেকে পাওয়া একটা বেহালার দাম উঠেছিল ১০ কোটির কাছাকাছি। টাইটানিকে থাকা বাদ্যকরদের একজন ওয়ালেস হার্টলির সঙ্গী ছিল সেই বেহালা। শোনা যায় টাইটানিক জাহাজ ডুবে যাওয়ার সময়ও তিনি মৃত্যপথযাত্রীদের শান্ত রাখার জন্য সঙ্গীতের সুরমূর্চ্ছনা চালিয়ে গিয়েছিলেন। জাহাজ ডুবে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেই রাতে থেকে গিয়েছিল বেহালার সুর। আটলান্টিকের গভীর তলদেশ থেকে উদ্ধার হয় হার্টলির মৃতদেহ। বেহালার ব্যাগ-সহ বেহালাটি তখনও তাঁর কাঁধেই ছিল।