উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিদ্যুৎ গতিতে গাড়ি চালিয়ে শিরোনামে চলে এলেন হিটম্যান রোহিত শর্মা। গাড়ি চালালেন সর্বোচ্চ ২১৫ কিলোমিটার গতিতে। মুম্বই-পুণে এক্সপ্রেসওয়েতে নির্ধারিত গতিসীমা ছাড়িয়ে তিনবার ট্রাফিক আইন ভাঙেন রোহিত। তিনবার ভারত অধিনায়কের নামে অনলাইন ট্রাফিক চালান ইস্যু করা হয়। তবে কত টাকা তাঁকে জরিমানা করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
ঋষভ পন্থের দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও টাটকা ভারতীয় সমর্থকদের মনে। সেই দুর্ঘটনা থেকেও শিক্ষা নেননি রোহিত শর্মা। ঋষভ সুস্থ হয়ে উঠলেও এখনও মাঠে ফিরতে পারেননি। তার মধ্যেই এ বার বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে ট্রাফিক আইন ভেঙে বিতর্কে জড়িয়েছেন রোহিত শর্মা। বিশ্বকাপের মাঝেই ভারত অধিনায়কের এমন এক কাণ্ডের কথা সামনে আসতেই বিপাকে পড়ে গিয়েছেন খোদ অধিনায়ক। বৃহস্পতিবার পুণের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ম্যাচে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে ভারত। সেই ম্যাচের আগে দলের সঙ্গে যোগ দিতেই সড়কপথে মুম্বই থেকে পুণেতে যান রোহিত। সেই সময়ই তিনি এমন কাণ্ড ঘটান বলে খবর ।
জানা গিয়েছে, আমদাবাদে পাকিস্তান ম্যাচের পরে হেলিকপ্টারে সস্ত্রীক মুম্বইয়ে ফিরেছিলেন রোহিত। সেখানে পরিবারের সঙ্গে দু’দিন কাটিয়ে সড়ক পথেই পুণেতে যান দলের সঙ্গে যোগ দিতে যান। মুম্বই থেকে পুণে নিজেই ল্যাম্বরগিনি গাড়ি চালিয়ে যান রোহিত। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ঋতিকা সজদে। মুম্বই-পুণে এক্সপ্রেসওয়ে ধরে যাওয়ার সময় ট্রাফিকের নিয়ম ভাঙেন রোহিত। রোহিতের ল্যাম্বরগিনি ২০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতি পার করে যায়। একসময় রোহিতের গাড়ি ছুটছিল ২১৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে। আর সেটা করতে গিয়েই তিন বার ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করেন রোহিত শর্মা। তাঁর গাড়ির নম্বরে অনলাইনে তিন বার চালান কাটা হয়েছে। তবে কত টাকা তাঁকে জরিমানা করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
মুম্বই ট্রাফিক পুলিশ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘‘বিশ্বকাপের মাঝে ভারত অধিনায়কের এ ভাবে বেপরোয়া গাড়ি চালানো ঠিক নয়। দলের সঙ্গে বাসে যাওয়া উচিত তাঁর। কারণ, সেখানে পর্যাপ্ত সুরক্ষাব্যবস্থাও থাকে।’’ তারা আরও জানিয়েছে, ‘‘সবার উচিত ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলা। সেই সঙ্গে নিজের ও পরিবারের সুরক্ষার কথাও ভাবা উচিত তাদের। রোহিত যা করেছেন সেটা ঠিক করেননি।’’যদিও বিদ্যুৎ গতিতে গাড়ি চালিয়ে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন নিয়ে রোহিত বা ভারতীয় দলের তরফে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি।