ঘোকসাডাঙ্গা: ৭৯তম বর্ষে পড়ল রুইডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের দোল গোবিন্দ বর্মনের বাড়ির দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যে চলছে জোরকদমে পুজোর প্রস্তুতি। ৪৬ বছর আগে তিনি মারা যান। তাঁর স্ত্রী ফুলেশ্বরী বর্মনও মারা যান। তাঁর চার পুত্র ও দুই মেয়ে। মেয়েদের বিয়ে হয়েছে। চার পুত্র দীনেশ বর্মন, খোকন বর্মন, ক্ষিতীশ বর্মন, রতন বর্মন।
দোল গোবিন্দ বর্মনের বড় ছেলে দীনেশ বর্মন ব্যাংক কর্মী ছিলেন। বর্তমানে তিনি অবসর হয়েছেন। তাঁর স্ত্রী রীতা রায় বর্মন ও পুত্র হিমাদ্রি শেখর বর্মন। তাদের কোচবিহারে বাড়ি। তিন ভাই গ্রামের বাড়িতে কৃষিকাজ করেন। দুর্গাপুজো এলেই দীনেশ বর্মন সপরিবারে আসেন গ্রামের বাড়িতে। পুজো উপলক্ষ্যে বাড়ির মেয়ে সহ আত্মীয়স্বজনরা আসেন রুইডাঙ্গার গ্রামে। পুজোর কটা দিন সবাই একসঙ্গে পুজোর আনন্দে মেতে উঠেন। গ্রামের সকলেও এই পুজোয় শামিল হন।
স্থানীয়রা জানান, দোল গোবিন্দ বর্মন সেইসময় এলাকায় প্রভাবশালী ছিলেন। তিনি স্থানীয় বিদ্যালয়ের জমি দান করেছিলেন যা দোল গোবিন্দের স্কুল বলে পরিচিত। ৭৮ বছর আগে দোল গোবিন্দ বর্মন বাড়িতে দুর্গাপুজো শুরু করেন। দোল গোবিন্দ বাবুর লাইসেন্স প্রাপ্ত বন্দুক ছিল। সপ্তমির দিনে শূন্যে গুলি ছুরে পুজোর উদ্বোধন করতেন। এখন আর নেই দোল গোবিন্দ বাবু। আর নেই সেই শূন্যে বন্দুকের গুলির আওয়াজ। তাঁর ছেলেরা বাড়ির দুর্গাপুজোকে ধরে রেখেছে।
দীনেশ বর্মনের কথায়, পুজো উপলক্ষ্যে গ্রামের বাড়িতে ফিরি পরিবারকে নিয়ে। আত্মীয়স্বজনও আসে। সবাই মিলে বাবার দেখানো পথ ধরেই দুর্গাপুজোর আনন্দে মেতে উঠি। বাড়িতেই তৈরি হয়েছে স্থায়ী পাকা মন্দির। সারাবছর সব ভাই পৃথক থেকেও পুজোর কটা দিন এক হারিতেই চরে সবার রান্না। অষ্টমী নবমীর দিনে গোটা গ্রামের মানুষ এসে অঞ্জলি দেয়। পুজোর পর সকলে প্রসাদ নেয় ও পুজোর আনন্দে মেতে উঠে। পুজো শেষে সব আত্মীয় একে একে ফিরে যায়। আবার গোটা বছরের অপেক্ষায় থাকেন তাঁরা।