উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: কেশর হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে দামি মশলার কদর কোনওদিনই কমবে না। ভারতীয় রান্নায় বিশেষ করে এই কেশরের ব্যবহার বেশি। তবে শুধু রেসিপির স্বাদ দ্বিগুণ করতে নয়, ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও এই কেশরের অবদান অনস্বীকার্য। দীর্ঘ সময়ের জন্য উজ্জ্বলতা ধরে রাখার জন্য, নিখুঁত ও দাগমুক্ত ত্বকের জন্য সবচেয়ে যে উপাদান ব্যবহার করা হয়, তা হল এই কেশর। ব্যায় বহুল হওয়ার কারণে সবার পক্ষে সব সময় জাফরান ব্যবহার করা কিন্তু সহজ নয়। মূলত ইরান, ভারত এবং গ্রিসের কিছু জায়গাতেই জাফরান উৎপাদন হয়। অনেকে মনে করেন জাফরানের আদিভূমি হল ইরান। ঐতিহাসিকদের মতে, স্পেন হল জাফরানের আদি উৎসস্থল। জাফরান উৎপাদনে ভারত সারা বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। জাফরানের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ত্বক ও রেসিপি ছাড়াও সর্দি কাশির পাশাপাশি হার্টের সমস্যা, ব্লাড সুগার, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
কেশর ত্বকের কোন কোন সমস্যার সমাধান করতে পারে?
তারুণ্য ধরে রাখে
বয়স বাড়লে ত্বক এমনিতেই নিষ্প্রভ হয়ে পড়ে। হাজার হাজার দামি ক্রিম মেখেও খুব একটা লাভ হয় না। সেই সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে টক দই, কেশর এবং মধুর মিশ্রণ। সপ্তাহে বার দুয়েক মাখতে পারলে বয়সের ছাপ একেবারেই পড়বে না।
কালচে দাগ দূর করে
কেশরের মধ্যে ক্রোসিন এবং ক্রোসেটিনের মতো উপাদান রয়েছে। এই দু’টি উপাদান ত্বকের কালচে দাগছোপ দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকের তরতাজা ভাবও ফিরিয়ে আনে।
ত্বকের জেল্লা ধরে রাখে
শুধু যে বয়স বাড়লেই ত্বক জেল্লা হারায়, এমনটা কিন্তু নয়। কমবয়সিদের ত্বকও নিষ্প্রাণ হয়ে যেতে পারে। কেশরের মধ্যে যে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে, তা মেলানিনের উৎপাদন কমিয়ে প্রাকৃতিক ‘স্কিন-লাইটেনিং’ হিসাবে কাজ করে।
সানবার্ন দূর করে
রোদ লেগে ত্বক পুড়ে গেলে বা ত্বকে ট্যান পড়লে সালোঁয় গিয়ে ব্লিচ করার প্রয়োজন নেই। কেশরের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ট্যান উপাদানেই সমস্যার নিষ্পত্তি হবে। ত্বকও মসৃণ হবে।
ব্রণর সমস্যায়
ত্বকে ব্রণ, প্রদাহের সমস্যা দূর করতে পারে কেশর। ত্বকের ধরন বুঝে, বাড়িতে তৈরি যে কোনও ফেসপ্যাকের সঙ্গে কেশর মিশিয়ে মুখে মাখতে পারেন। কাজ হবে।