উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: অ্যাস্ট্রোফিজিক্স নিয়ে গবেষণা করতে চায় রাজ্য জয়েন্টে প্রথম সাহিল আখতার। কলকাতার কসবার বোসপুকুরের বাসিন্দা সাহিল। রুবির দিল্পি পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। এদিন জয়েন্টের ফল প্রকাশ হলেও কোনও টেনশনে ছিলেন না বরাবরের এই মেধাবী ছাত্র। যখন জয়েন্টের ফল ঘোষণা হচ্ছিল তখন ঘুমোচ্ছিলেন সাহিল। জয়েন্টের কোন স্থানে থাকবেন তা নিয়ে কোনও ভাবনাই ছিল না সাহিলের। দ্রুত আমেরিকায় চলে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সাহিলের। সেখানে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে পছন্দের বিষয় অ্যাস্ট্রোফিজিক্স নিয়ে পড়াশোনা করতে চলেছেন তিনি। আসলে বাঁধাধরা পথে নয়, একটু অন্যভাবে এই মানুষের জন্য কাজ করতে চান সাহিল।
কীভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন? সাহিলের চটজলদি উত্তর, পরীক্ষার আগ দিয়ে প্রতিদিন মোটামুটি ১২-১৪ ঘণ্টার প্রস্তুতি নিয়েছেন। তবে দিনরাত বই মুখে নিয়ে বসে ছিলেন এমন নয় তিনি। পড়ার ফাঁকে একটু গান, একটু কি বোর্ডে পছন্দে সুরটা তুলে নেওয়া ছিল সাহিলের সখ। সাহিলের দাদা দিল্লি আইআইটির ছাত্র। পড়াশোনার ক্ষেত্রে দাদাও পরামর্শ দিতেন বলে জানিয়েছে সাহিল। দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার রেজাল্টটা ঠিক মনের মতো হয়নি সাহিলের। ইংরেজিতে নম্বর কিছুটা কমে গিয়েছিল। সব মিলিয়ে পেয়েছিলেন ৯৬ শতাংশ। কিন্তু জয়েন্টের প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক রাখেন নি। একেবারে ঘড়ি ধরে অনুশীলন চালিয়েছেন। সবটা করেছেন রীতিমতো নিয়ম মেনে। যার জেরেই আজ রাজ্যে জয়েন্টে প্রথম মহম্মদ সাহিল আখতার।