মালবাজারঃ (Saili tea garden was closed) সুখা মরসুমে এবার অচল হল ডুয়ার্সের মাল ব্লকের সাইলী চা বাগান। সোমবার থেকে সাইলী চা বাগানে সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক এর নোটিশ (suspension of work notice) জারি করেছে বাগান কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক স্তরে এই নোটিশ পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। শ্রম বিভাগের মালবাজারের সহকারী শ্রম আধিকারিক প্রণব কুমার দাস বলেন, সোমবার থেকে সাইলী চা বাগানে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট সমস্ত মহলের সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যদিও এদিন রাত পর্যন্ত বাগানের মালিক পক্ষের বক্তব্য জানা যায়নি। তবে জানা গেছে নোটিশ জারির তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ সোমবার বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ম্যানেজারের মোবাইল সুইচ অফ থাকায় যোগাযোগ করা যায় নি।
গত বৃহস্পতিবার থেকে মাল ব্লকের সাইলী চা বাগানে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে। বাগানে গত ২২ জানুয়ারি একটি পাক্ষিক মজুরি প্রদানের তারিখ ছিল। তা প্রদান করা হয় নি। ফলে শ্রমিকেরা বৃহস্পতিবার কারখানার গেটের সামনে অবস্থান শুরু করে। শুক্রবার ফের আন্দোলন শুরু হয়। এদিন বাগান কর্তৃপক্ষ ২২ জানুয়ারি বকেয়া পাক্ষিক মজুরি ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মেটানোর প্রতিশ্রুতি দেন। পাশাপাশি ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আরেকটি পাক্ষিক মজুরি প্রদানের কথা বলা হয়। সেই মোতাবেক আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার শ্রমিকদের পাক্ষিক মজুরি পাওয়ার কথা ছিল। এর পূর্বেই সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক এর নোটিশ জারি করে বাগান ছেড়েছেন কর্তৃপক্ষ। এর ফলে বর্তমানে অনিশ্চয়তার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে সাইলী চা বাগানে।
নোটিশে বাগানের জেনারেল ম্যানেজার উল্লেখ করেছেন, বাগানে আর্থিক দুর্বলতা রয়েছে। শ্রমিকদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিল। তবুও দফায় দফায় কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলন করা হচ্ছে। ফলে বাগানে পরিচালক কর্তৃপক্ষ শান্তি শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যার জেরেই সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক।
যদিও শ্রমিক পক্ষ মালিক পক্ষের অভিযোগ মানতে নারাজ। তারা পূর্বে থেকেই দাবি করে আসছেন নিয়ম মেনে তারা বাগানে যাবতীয় কাজ সম্পাদন করেন। অথচ মজুরি সহ নানা ক্ষেত্রে শ্রমিকদের বঞ্চনা করা হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তথা রাঙ্গামাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অশোক চিক বড়াইক বলেন, এভাবে বাগান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হঠকারী। বিজেপির শ্রমিক নেতা মহেশ বাগে বলেন বাগানখোলা দরকার। এখন সোমবার পরিস্থিতি কোন দিকে যায় তাই দেখার বিষয়।