শিলিগুড়ি: (Violation of traffic laws) ট্রাফিক সিগন্যাল ভেঙে এগিয়ে চলা গাড়ি আটকে গাড়ি চালকের লাইসেন্স দেখতে চাওয়ায় হেনস্থা হতে হল ট্রাফিক পুলিশকে (Traffic police)। বিহার নম্বরের ওই গাড়ি থেকে নেমে এক যুবক নিজেকে ইউটিউবার হিসেবে পরিচয় দিয়ে ফেসবুক লাইভ করে বলতে থাকেন, বিহারের নম্বর দেখে বাংলার পুলিশ সমস্যা তৈরি করছে। বাংলার পুলিশের নামে মিথ্যা অভিযোগ এনে ফেসবুক লাইভ করায় প্রতিবাদ করেন স্টেট গেস্ট হাউসের (State guest house) সামনের মোড়ের ট্রাফিক বুথের দায়িত্ব থাকা এএসআই এএসআই নারায়ণ চন্দ্র সাহা। প্রতিবাদ করায় নারায়ণবাবুকে ধাক্কাও দেন ওই যুবক।
শেষ পর্যন্ত প্রধান নগর থানার (Pradhan Nagar Police station) আইসি বাসুদেব সরকারের কাছে ফোন যাওয়ার পর পুলিশ গিয়ে বিহার নম্বরের ওই গাড়িতে থাকা তিনজনকে আটক করে। গাড়িটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়। ওই তিনজনের নাম শুভম কুমার, বিকাশ কুমার শাহ ও মহম্মদ সাফিক আলম। তবে এরপরেও ট্রাফিক থেকে কোনও অভিযোগ দায়ের না করে ট্রাফিক সিগন্যাল ভাঙার জামিনযোগ্য মামলা দায়ের করে তিনজনকে গাড়ি সহ ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অপরাধ করার পরেও এত সহজে ওই যুবকরা ছাড়া পেয়ে যাওয়ায় ট্রাফিক কর্মী, সিভিক ভলেন্টিয়ারদের অন্দরে চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। জংশন ট্রাফিক গার্ডের আইসি সুবীর দত্ত গোটা ঘটনা স্বীকার করেন। তাঁর বক্তব্য, ‘এধরণের সমস্যায় মধ্যে আমাদের প্রায়ই পড়তে হয়। তাই আর অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে এদিন ওই গাড়িতে থাকা যুবকরা একটু বেশিই বাড়াবাড়ি করেছিল।’