সামসী: কথিত আছে প্রবল বন্যায় ১৪৮ বছর আগে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে ভেসে এসেছিল দুর্গামুর্তির কাঠামো। সেই কাঠামোয় মূর্তি গড়ে পুজো শুরু হয় সামসী (সোমবারি হাট) সার্বজনীন দুর্গাতলা পুজো কমিটির। এবার ১৪৯তম বছরে পদার্পন করল সামসী দুর্গাতলা সার্বজনীন দুর্গাপুজো। সামসীর পার্শ্ববর্তী গ্রাম পারাকরমে এই পুজো প্রথম শুরু হয়েছিল। তারপর বন্যায় পুজোর পুরো কাঠামোটি ভেসে এসে বর্তমান সোমবারি হাট দুর্গাতলা মন্দির লাগোয়া পুকুরে আটকে পড়ে। তারপর সামসীর বাসিন্দারা পুকুর থেকে পুজোর পুরো কাঠামোটি তুলে উপস্থাপন করে পুজো শুরু করেন। তারপর থেকে এখানে আজও দুর্গাপুজো হয়ে আসছে।
এবারের পুজোর মোট বাজেট প্রায় তিন লক্ষ টাকা বলে জানিয়েছেন ওই পুজো কমিটির সম্পাদক অশোক রায়। তিনি জানান, পুরো টাকাটাই চাঁদা হিসেবেই আসে। হিন্দু ভাইদের পাশাপাশি এলাকার মুসলিম ভাইদের কাছ থেকেও কিছু সাহায্য মেলে। সামসী দুর্গাতলায় অবস্থিত মূল মন্দিরেই শাস্ত্রীয় রীতি মেনে নিষ্ঠা ভরে এই পুজো হয়।
এবার প্রতিমা তৈরির দায়িত্বে রয়েছেন সামসী কান্ডারণ এলাকার মৃৎশিল্পী উত্তম প্রামানিক। গঙ্গারামপুরের দেবাশীষ ভট্টাচার্য পুজো করবেন। এখানে মা দুর্গাকে শোলার সাজে সাজানো হয়। দশমীর দিন মায়ের বিসর্জন করা হয় মন্দির প্রাঙ্গনে অবস্থিত পুকুরে। বিসর্জনের আগে মা দুর্গাকে কাঁধে করে গোটা সামসী বাজার পরিক্রমার পর তারপর বিসর্জন করা হয়।