আলিপুরদুয়ার: বর্তমানে পাচার সহ নানা অসামাজিক কাজে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই অবস্থায় আত্মরক্ষার কৌশল রপ্ত করা জরুরি। মাঝেরডাবরি চা বাগান এলাকায় গত সাত-আট বছর ধরে একাজ করছেন সপ্তপর্ণী চক্রবর্তী। পেশায় ক্যারাটে শিক্ষক। এখানে বিনা খরচে তিনি এই প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। একইসঙ্গে বিভিন্ন সরকারি স্কুল-কলেজেও তিনি এমন প্রশিক্ষণ দেন। শুধু তাই নয়, তিনি আলিপুরদুয়ার জেলার মহিলা কনস্টেবলদের নিয়ে তৈরি উইনার্স টিমকেও প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচশোজনকে তিনি আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ দিয়েছেন বলে দাবি করেন।
তাঁর দাবি, মেয়েরা আত্মরক্ষার কলাকৌশল ঠিকমতো রপ্ত করে পরে তা অন্যদের শিখিয়ে স্বাবলম্বীও হতে পারবে। একই সঙ্গে যে কোনও পরিস্থিতিতে নিজেদের সামলাতেও সক্ষম হবে। এজন্যই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। ব্ল্যাক বেল্টের অধিকারী সপ্তপর্ণী এই খেলার নানা প্রতিযোগিতায় ইতিমধ্যে জাতীয় বিচারক ও রেফারির দায়িত্ব সামলেছেন। তিনি জানান, আত্মরক্ষার জন্য সবার ক্যারাটে শেখা উচিত। বিশেষ করে মহিলাদের। তাতে মেয়েদের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে যায়। তিনি আরও জানান, নারী পাচারের মতো জঘন্যতম অপরাধ সম্পূর্ণ নির্মূল করা জরুরি। এজন্য মেয়েদেরও মানসিকতার বদল দরকার। তাঁরা যেন কোনও প্রলোভনে পা না দেন। খেলার মাধ্যমে ওঁদের আত্মবিশ্বাস ও আত্মরক্ষার বিষয়টি বুঝতে হবে।
সপ্তপর্ণীর কাছ থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মাঝেরডাবরি চা বাগানের বাসিন্দা উমা গোরে জানান, আট বছর ধরে তিনি ক্যারাটে শিখছেন। বর্তমানে ক্যারাটে শেখা খুবই দরকার। বিশেষ করে নিজের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এর কোনও জুড়ি নেই। দেবজ্যোতি নাগ বলেন, ‘২০১৫ সাল থেকে আত্মরক্ষার এই খেলা শিখছি। বর্তমানে সমাজের যা পরিস্থিতি তাতে নিজের ও পরিবারের স্বার্থে সেলফ ডিফেন্স শেখা খুবই দরকার। এটা শিখে অনেক কিছু অর্জন করেছি। শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেকটাই শক্ত হতে পেরেছি।’