উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে আরও চাপ বাড়ল শেখ শাহজাহানের। যে কোনও দিন জেলে গিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি। শনিবার এই নির্দেশ দেয় বসিরহাট মহকুমা আদালত। এই নির্দেশ পাওয়ার পরই আর শাহজাহানকে জেরা করতে জেলে গেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
জেলবন্দি শেখ শাহজাহানকে জেরা করতে চেয়ে শনিবার বসিরহাট আদালতে আবেদন করেছিল ইডি। এদিন বেলা ১১টা নাগাদ ইডির পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল বসিরহাট আদালতে এসে পৌঁছান। কী কারণে জেরা করতে চাইছেন, সেই সংক্রান্ত নথি আদালতে জমা দেয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপরই শাহজাহানকে জেরা করার অনুমতি দেয় বসিরহাট আদালত। শনিবার বেলা ১টা নাগাদ আদালতের অনুমতি নিয়ে বসিরহাট জেলে পৌঁছন ইডির আধিকারিকরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেখানে জেরার প্রক্রিয়া চলছে।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভেড়ির ব্যবসার আড়ালে চিংড়ি রপ্তানির নামে বিদেশে টাকা পাচার করতেন শেখ শাহজাহান। গত ১৪ মার্চ ধামাখালি ও সরবেড়িয়ায় শাহজাহানের সিন্ডিকেটের একাধিক ভেড়ি ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। তদন্তকারীদের দাবি, ওই ব্যবসায়ীদের বাড়ি থেকে উদ্ধার নথিতে স্পষ্ট যে শাহজাহান বিদেশে চিংড়ি রপ্তানির ব্যবসার নামে টাকা পাচার করত। সেই দুর্নীতির তদন্তে তাকে জেলে গিয়ে জেরা করছে ইডি। জেলে গিয়ে জেরার সময় শাহজাহান সহযোগিতা না করলে তাঁকে গ্রেপ্তার করার অনুমতি চাইতে পারেন তদন্তকারীরা। গত ৫ জানুয়ারির হামলার পর প্রথমবার শাহজাহানের মুখোমুখি হলেন ইডির আধিকারিকরা।
বৃহস্পতিবার সিবিআই হেপাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সন্দেশখালির বেতাজবাদশা শেখ শাহজাহানকে ১২ দিনের জেল হেপাজতে পাঠিয়েছে আদালত। গত ৫ জানুয়ারি র্যাশন দুর্নীতির তদন্তে শাহজাহানকে জেরা করতে গিয়ে সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় তৃণমূলের এই নেতার অনুগামীদের দ্বারা আক্রান্ত হন জনাকয়েক ইডি আধিকারিক। দীর্ঘদিন অন্তরালে থাকার পর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন শাহজাহান। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশি হেপাজত থেকে শাহজাহানকে নিজেদের হেপাজতে নিয়েছিল সিবিআই। এখনও পর্যন্ত শাহজাহানের দুটি বিলাসবহুল গাড়ি সহ প্রায় ১৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই বিপুল সম্পত্তিরই সূত্র ধরেই শাহজাহানের বিরুদ্ধে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত মামলা রুজু করেছে ইডি। সেই সূত্রেই এবার শাহজাহানকে হেপাজতে নিতে চায় ইডি।