উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ যাদবপুরকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে মোট ১২ জন প্রাক্তনী ও পড়ুয়া। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তকারীদের হাতে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের সিনিয়র আবাসিকদের বিরুদ্ধে উঠল তোলাবাজির অভিযোগ। তদন্তকারীরা জেরায় জানতে পেরেছেন, হস্টেলে নবাগত ছাত্রদের কাছ থেকে ডিজিটাল কায়দায় চলত তোলাবাজি। হস্টেলে খাবার ও নেশার টাকা নবাগতদের মেটাতে বাধ্য করত সিনিয়ররা। অনলাইনে খাবার ও মদের টাকা মেটাতেন প্রথম বর্ষের ছাত্ররা।
তদন্তকারীরা ধৃতদের জেরা করে জানতে পেরেছেন, ধৃত সৌরভ চৌধুরীর নেতৃত্বে মেইন হস্টেলে চলত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের কাছ থেকে তোলাবাজি। প্রথম বর্ষের ছাত্রদের টাকায় মোচ্ছব করতেন সিনিয়ররা। তদন্তকারীদের দাবি, হস্টেলে আগত ছাত্রদের আর্থিক অবস্থা দেখে তালিকা তৈরি করে টাকার ডিমান্ড করত সৌরভরা। তোলাবাজির টাকা থেকে বাড়িতেও টাকা পাঠাতেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। রীতিমতো টাকা রোজগারের পথ যাদবপুরের নবাগতদের জন্য বরাদ্দ মেইন হস্টেল।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই একাধিক প্রশ্ন উঠেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। অনেকেরই প্রশ্ন, একদিকে যখন হস্টেলে থাকতে না পেরে যাদবপুরে পড়ার স্বপ্ন বিসর্জন দিতে হচ্ছে অনেক ছাত্রকে তখন কী করে হস্টেলের ঘর দখল করে রাখেন প্রাক্তনীরা? এর কিছুই কি জানত না কর্তৃপক্ষ? না কি সব জেনেও চুপ করে ছিল তারা?