বিধান সিংহ রায়, পুণ্ডিবাড়ি: হোটেলের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরেই মধুচক্র (Sex Racket) চলার অভিযোগ ছিল। সোমবার সন্ধ্যায় পুণ্ডিবাড়ি থানার পুলিশ কোচবিহার শহর সংলগ্ন পূর্ব খাগড়াবাড়ি রূপনগর এলাকায় জাতীয় সড়কের পাশে থাকা ওই হোটেলে অভিযান চালিয়ে দুই মহিলা, তিন তরুণের পাশাপাশি হোটেলের মালিককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। হোটেলটিকে সিল করে দেওয়া হয়। বহুদিন ধরেই এই হোটেলে অসামাজিক কাজকর্ম চলছে বলে দাবি জানিয়ে আসা বাসিন্দারা এদিন পুলিশি অভিযানের পর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য সাড়া না দেওয়ায় তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
স্থানীয় বাসিন্দা ভবেশ দাস বললেন, ‘শুধুমাত্র দেহব্যবসা চালানোর জন্যই এখানে দুই বছর হল এই হোটেলটি চালু করা হয়। মহিলা তো বটেই, কমবয়সি মেয়েরাও নিয়মিতভাবে এই হোটেলে আসত। আমরা প্রতিবাদ করলেই আমাদের হুমকি দেওয়া হত।’ স্থানীয় বাসিন্দা সহদেব বর্মন, জয়া দাসদেরও একই অভিযোগ। বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিন বহু গাড়ি হোটেলটির সামনে এসে দাঁড়াত। গাড়ি থেকে মহিলারা নেমে হোটেলটিতে ঢুকতেন। সকালে কেউ ভিতরে ঢুকলে সন্ধ্যায় বের হতেন। এলাকাবাসী পম্পা হেগড়ে বললেন, ‘এই হোটেলটিতে এহেন অসামাজিক কাজকর্মের জেরে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল। ব্যবস্থা নিতে আমরা বহুবার হোটেল মালিককে বললেও তিনি আমাদের আবেদনে কর্ণপাত করেননি। তবে পুলিশ অভিযান চালানোয় আমরা খুশি। আশপাশের আরও কয়েকটি হোটেলে এধরনের কারবার চলছে। সেগুলির ক্ষেত্রেও ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এদিনের অভিযানে ডিএসপি (সদর) চন্দন দাস, পুণ্ডিবাড়ি থানার ওসি হিমাদ্রি ঘোষ, সার্কেল ইনস্পেকটর তানাজি দাস প্রমুখ শামিল ছিলেন। আটক মহিলাদের মধ্যে একজন পুণ্ডিবাড়ি থানা এলাকা ও একজন বনগাঁর বাসিন্দা। তিন যুবক পুণ্ডিবাড়ি, তুফানগঞ্জ ও শীতলকুচি এলাকার বাসিন্দা। হোটেল মালিক খাগড়াবাড়ি এলাকাতেই থাকেন। বহুদিন ধরে এই হোটেলটিতে অসামাজিক কাজকর্মের অভিযোগ থাকলেও পুলিশ কেন এতদিনে ব্যবস্থা নিল তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।