বালুরঘাটঃ ‘ঘুমিয়ে থাকা বুদ্ধিজীবীদের যে অবশেষে ঘুম ভেঙেছে, এটাই আমাদের কাছে বড় পাওনা। অবশেষে সন্দেশখালির অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা যে মোমবাতি খুঁজে পেয়েছেন, এটাই যথেষ্ট।’ বাদশা মৈত্র সহ অন্যান্য বুদ্ধিজীবীদের সন্দেশখালি যাওয়া নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে এভাবেই কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘বাংলার এই বুদ্ধিজীবীরা তো বায়াসড। এঁরা উত্তর প্রদেশের হাথরসে কী হল তার বিরুদ্ধে এখানে সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলনে নামেন। কিন্তু সন্দেশখালির ঘটনা এঁদের নজরে আসে না। তবে এতদিন পরে হলেও যে তাঁদের ঘুম ভেঙেছে এটাই যথেষ্ট।’
এদিকে সন্দেশখালির প্রাক্তন বাম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের পাশেও দাঁড়িয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি প্রাক্তন বাম বিধায়কের প্রসঙ্গ তুলেই এদিন তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেছেন। নিরাপদ সর্দারের অভিযোগ ছিল, সন্দেশখালির কথা বিধানসভায় বলতে গেলেই মাইক অফ করে দেওয়া হত। বাম বিধায়কের এই অভিযোগ সমর্থন করে সুকান্তবাবু বলেন, ‘এটা ভয়ানক অভিযোগ। তৃণমূলের আমলে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবিধানকে বারবার চ্যালেঞ্জ করছেন।’
আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে গ্রেপ্তার করা প্রসঙ্গেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন সুকান্তবাবু। তিনি বলেন ‘১৪৪ ধারা শুধুমাত্র বিরোধীদের জন্য। তৃণমূলের মন্ত্রী, বিধায়ক, নেতারা ৫০ জন করে নিয়ে ঘুরে বেড়ালেও তাদের ধরবে না পুলিশ। কিন্তু বিরোধীরা যেতে গেলে তাদের আটকানো বা গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’
মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে সুকান্ত বলেন, ‘আসলে তৃণমূল নেতাদের সন্দেশখালিতে পাঠিয়ে পরিস্থিতি যাচাই করার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন মানুষের ক্ষোভ আগুন হয়ে রয়েছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী ভয় পাচ্ছেন। পরিস্থিতি শান্ত হলে তিনি সেখানে যাবেন।’
আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও শেখ শাহজাহান আজ পর্যন্ত গ্রেপ্তার না হওয়া প্রসঙ্গে বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, ‘তৃণমূল ও পুলিশ জানে, শাহজাহান কোথায় লুকিয়ে আছে। কিন্তু পুলিশ তাকে এখনই ধরবে না। শাহজাহানকে ছাড়া ভোট লুট করে জেতা যাবে কি যাবে না, তা নিয়ে তৃণমূল এখন জল মাপছে। শাহজাহানকে গ্রেপ্তারের দাবিতে আমরা ইতিমধ্যেই আন্দোলন শুরু করেছি। এই আন্দোলনের ঠেলায় পড়েই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে বাধ্য হবে।’