উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: গিয়েছেন দলের নির্দেশে দিল্লিতে ধর্না কর্মসূচিতে যোগ দিতে। ভাবছেন এ আবার এমন কি খবর! আজ সকাল থেকেই তো সংবাদ মাধ্যম জুড়েই রয়েছে ঘাস ফুল শিবিরের ‘দিল্লি অভিযান’।কি হল সেখানে, কি বললেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তা নিয়ে যেন রাজনৈতিক মহলের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই। কিন্তু এত বড় রাজনৈতিক কর্মকান্ডের মধ্যে রাজ্যের এক মন্ত্রী এবং তৃণমূলের হেভিওয়েট এক সাংসদ পড়লেন চরম বিড়ম্বনায়।
প্রথম জন সুজিত বসু, রাজ্যের দমকল মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীর খুব কাছের একজন। তৃণমূল কংগ্রেসের দিল্লি অভিযানে তিনি থাকবেন এ নিয়ে কোন সন্দেহ ছিল না। সেইমত এদিনের ধর্না কর্মসূচিতে যোগ দিতে দিল্লিতে মহাত্মা গান্ধির সমাধিস্থল রাজঘাটে নিজের জুতো খুলে ঢুকেছিলেন মন্ত্রী। ধর্না শেষে পুলিশের তাড়ায় খানিকটা দ্রুত বাইরে বেরিয়ে দেখেন নিজের জুতো উধাও। মন্ত্রী মশাইয়ের যে শুধু জুতোই গেছে তা নয়, পায়ে বুট দিয়ে চেপে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। অগ্যতা সংবাদ মাধ্যমের সামনে খালি পায়েই এলেন মন্ত্রী। বললেন, ‘আমি জুতো খুলে ভিতরে গিয়েছিলাম। এখন দেখছি জুতোটা মিসিং।’ তবে মন্ত্রী কিন্তু দলের একনিষ্ঠ ভক্তের মত প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, ‘জুতো হারালেও আমাদের আন্দোলন চলবে।’
দ্বিতীয় জন হলেন তৃণমূল মুখপাত্র সাংসদ শান্তনু সেন। তিনিও দলের নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ধর্নায় বসেছিলেন। ধর্না কর্মসূচি চলাকালীন তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা হারিয়ে ফেলেন নিজের ফোনটি। তিনি অবশ্য সুজিত বসুর পথ না মাড়িয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেন ফোন। কিন্তু সেটি আর পাওয়া যায়নি। নিজের ফোন হারানোর খবর, ফেসবুকে জানান শান্তনুবাবু।অন্যদিকে ফোন খয়ে গেছে সাংসদ শতাব্দী রায়ের। তাঁর আইফোন সিরিজের ফোন ছিল।
সোমবার সকাল থেকেই তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সরগরম ছিল দিল্লির রাজপথ।ধর্না শেষে সেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।একাধিক দলীয় কর্মীকে দেখা যায় পালিয়ে যেতে। পুলিশকে দেখা যায় লাঠি চালাতে।এতবড় রাজনৈতিক সমাবেশের মধ্যে রাজ্যের দুই হেভিওয়েটের এহেন পরিস্থিতি দেখে বলাই যায় রাজনীতিতে সবই সম্ভব।