উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বসিরহাট আদালত থেকে শাহাজাহান কে আনা হল কলকাতার ভবানী ভবনে, রাজ্য পুলিশের সদর দপ্তরে। তাঁকে এখানে নিয়ে আসেন পুলিশবাহিনী।কার্যত সংবাদমাধ্যমের চোখে ধুলো দিয়ে বসিরহাট থেকে বেরিয়ে বাসন্তী হাইওয়ে ধরে ঘটকপুকুর, ভোজেরহাট পেরিয়ে সায়েন্স সিটি পেরিয়ে শাহজাহানকে নিয়ে আসা হয়েছে কলকাতায়।তাঁকে আনার জন্য গোটা রাস্তা যানবাহন শূন্য করে দেওয়া হয়েছিল।‘গ্রিন করিডর’ করে শাহজাহানকে নিয়ে ভবানী ভবনে পৌঁছয় রাজ্যপুলিশ।সেখানেই আগামী ১০ দিন তাঁকে রাখা হবে। দফায় দফায় তাঁকে জেরা করবে রাজ্য পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকেরা।
বসিরহাট আদালত থেকে বেরোনোর পর সংবাদমাধ্যম যাতে শাহজাহানের গতিবিধি বুঝতে না পারে সে কারণে উধাও হয়ে যায় পুলিশের তিনটি গাড়ির কনভয়।যার মধ্যে দু’টি সাদা। একটি ধূসর রঙের।তিনটিরই সামনে-পিছনে ‘পুলিশ’ লেখা স্টিকার রয়েছে।আর সাদা রঙের গাড়িটিতেই ছিলেন ধৃত শাহজাহান। সেটির মাথায় ছিল নীলবাতি। শাহজাহানকে বসিয়ে রাখা হয়েছিল মাঝখানে।তাঁর দু’পাশে ছিলেন পুলিশের উর্দিধারী অফিসারেরা।
কেন এত গোপনীয়তা শাহজাহানকে নিয়ে? তা নিয়ে একেক জনের একেক রকম মত।অনেকে বলছেন যাতে নির্বিঘ্নে জেরা করা যায়। তবে বিরোধীরা বলছেন, এসব লোক দেখানো। এরপর শাহজাহানকে রাখা হবে SSKM হাসপাতালে। চিকিৎসার নাম করে নিশ্চিন্তে যাতে ওখানে বসে থাকতে পারে তার ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার।