উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই বেসুরো ছিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির। বিভিন্ন সময়ে একাধিক ইস্যুতে সংবাদমাধ্যমে দল বিরোধী মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। নির্বাচন শেষ হতেই এবার বিধায়কের বিরুদ্ধে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ এনে ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে তৃণমূল। এমনকি স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও হুমায়ুনের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব তাকে শোকজের চিঠি পাঠালো।
বৃহস্পতিবার, বিধানসভায় ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, ‘মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে আমাদের দলের একজন আছেন, যিনি মাঝেমধ্যেই হুঙ্কার দেন। গুন্ডামি করেন। আমাদের দলে থাকলেও তার কাজকর্ম আমি সমর্থন করিনা’। সুত্রের মারফৎ জানা যায়, শনিবারই তৃণমূলের রাজ্য সভাপতির পক্ষ থেকে শোকজের চিঠি পৌঁছয় হুমায়ুন কবীরের কাছে।
নোটিশ পেয়েই হুমায়ুন সুর চড়িয়ে বলেন, ‘আমি ৪৩ বছর ধরে রাজনীতি করি। ১৮ বছর বয়স থেকে রাজনীতি করছি। যতদিন আমার শরীর-স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে, রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকব। তৃণমূল নেত্রীকে দেখে নতুন করে ২০২০ সালে অনেক তিক্ততা ভুলে আমি তৃণমূলের কাছে অঙ্গীকার করেছিলাম। বলেছিলাম, আমাকে দল করার সুযোগ দেওয়া হোক। নেতৃত্বও আমাকে দল করার সুযোগ দিয়েছে। নিজের এলাকায় না দিলেও পাশের বিধানসভায় প্রতীক নিয়ে লড়াইয়ের সুযোগ দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দল আমাকে সাতদিনের মধ্যে উত্তর দিতে বলেছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই দলকে জবাব দেব। তারপর দল যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে’।
উল্লেখ্য, বিধানসভার ২টি স্ট্যান্ডিং কমিটিতে বর্তমানে রয়েছেন ভরতপুরের বিধায়ক। শোকজের পর হুমায়ুনকে কমিটি থেকে সরানো হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।