রায়গঞ্জ: ‘শুভেন্দুর লোকজন যেন এবার স্ট্রং রুমের ধারে কাছে না থাকে। ২০২৩ কিন্তু ২০১৮ নয়। কারণ ২০১৮ সালে গুন্ডা, বদমাস, পুলিশের একাংশকে নিয়ে পঞ্চায়েত লুট করার ঠিকা নিয়েছিল শুভেন্দু। ওনার নেতৃত্বে সব হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর খুব কাছের ছিলেন তিনি।‘ বৃহস্পতিবার উত্তর দিনাজপুর জেলায় সিপিএমের প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে এসে রায়গঞ্জে দলের জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই জানান রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
সেলিম বলেন, ‘তৃণমূলের নেতা হিসেবে শুভেন্দুর বিকাশ হয়েছে দলবদল, কেনা-বেচা, চাকরি বিক্রি, পরিবহন দপ্তরকে বিক্রি করে দেওয়ার অর্থে। নন্দীগ্রামে মাওবাদীদের নিয়ে এসে খানাপিনা দিয়ে খুন করিয়েছে। তাই তার অফার বামপন্থীরা নেবে না।‘ শুভেন্দুর উপমুখ্যমন্ত্রীর অফার প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, ‘সারদা নারদাকাণ্ডে সবাই তাকে টাকা নিতে দেখেছিল, এই ক্ষেত্রে তো আমরা কেউ দেখতে পারিনি। তাই ওটা বিশ্বাস করেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সততার প্রতীক’ সাইন বোর্ড তো শুভেন্দু লাগিয়েছিল। চিট ফান্ডের টাকায় ৩৬ ফুটের সাইনবোর্ড তিনি লাগিয়েছিলেন। সবাই বলত দিদি, আর উনি বলতেন পিসি। আর ভাইপো সেজে যতসব কেলেঙ্কারি করেছে। মুকুল রায় বলেছিলেন তাকে আরএসএসের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাঠিয়েছিলেন। আর শুভেন্দু বলেছে আমি আরএসএস ছিলাম। তাই তৃণমূল ও বিজেপি যে এক বৃন্তে দুটি কুসুম তা নিয়ে কারও কোনও সন্দেহ নেই।‘
অন্যদিকে, চোপড়া প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, ‘বিধায়ক গুন্ডা, বদমাশ নিয়ে সন্ত্রাস চালিয়েছে। বিরোধীদের নমিনেশন তুলতে দেয়নি। পুলিশ পুরোপুরিভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে কাজ করেছে। তৃণমূল আর বিজেপির বিরুদ্ধে গ্রামের মানুষ জোট বেঁধেছে। তাই এবার ভোটের দিনের সন্ত্রাস রুখে দেবে তারা। এবছর দুই একটি জায়গা বাদ দিয়ে প্রতিটি জায়গায় সাধারণ মানুষ জোট বেঁধে লড়াই করছে। অন্যান্যবার পঞ্চায়েতে প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রে যে অনৈক্য দেখা যেত এবার তা নেই বললেই চলে।‘
সেলিমের বক্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, ‘গত ৩৪ বছরে সিপিএমের সন্ত্রাস সাধারণ মানুষ ভোলেনি। তাই উনি যা বলছেন তা সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করেন না। এই জেলায় সিপিএমের কোনও শক্তিই নেই। উনি ভোটের আগে রাজনৈতিক পর্যটক হিসেবে এই জেলায় এসে বড় বড় কথা বলে চলে গেলেন।‘ এদিন মহম্মদ সেলিম রায়গঞ্জের পাশাপাশি কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ ও করণদিঘিতে প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে অংশ নেন।