শক্তিপ্রসাদ জোয়ারদার, কিশনগঞ্জ: প্রেমিকার সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেল করছিলেন প্রেমিক। আর তার জেরেই প্রাণ হারাতে হল তাকে। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্ত প্রেমিকা সবিতা দেবী ওরফে মাঞ্ঝি মুর্মুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, পূর্ণিয়া শহরের লাইনবাজার এলাকার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্যাথলজিস্ট প্রকাশ মণ্ডলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই সেন্টারেরই নার্সে সবিতা দেবীর। দু-জন একাধিকবার ঘনিষ্ঠও হন। কিন্তু লুকিয়ে ঘনিষ্ঠ মুহুর্তের ভিডিও তুলে রাখে প্রেমিক প্রকাশ মণ্ডল। এরপর ওই ভিডিও দেখিয়ে প্রেমিকার থেকে মোটা অংকের টাকা দাবি করে প্রকাশ। পাশাপাশি প্রেমের সম্পর্ককে অস্বীকার করে বিয়ে করতেও না করে দেয় সে।
এই পরিস্থিতির হাত থেকে মুক্তি পেতে প্রেমিককে খুনের পরিকল্পনা করেন অভিযুক্ত সবিতা দেবী। প্রেমিকের দাবি মেনে নেওয়ার কথা বলে তাকে রানিগঞ্জের এক গোপন স্থানে ডেকে পাঠায়। সেখানে আরও একবার দু’জনে ঘনিষ্ঠ হয়। এমন পরিস্থিতিতে অভিযুক্ত প্রেমিকা নিজের কোমরে গুঁজে রাখা ওভারডোজের এনসেসিয়ার ইঞ্জেকশন প্রেমিকের শরীরে ফুটিয়ে দেয়। এর ফলে কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রেমিক প্রকাশ মণ্ডলের মৃত্যু হয়। এরপর তাঁর দেহ লুকি রাখে অভিযুক্ত। ১০ দিন পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পচা-গলা দেহ পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। তবে মৃত যুবকের মামা প্রেমপ্রকাশ মণ্ডলের দায়ের করা নিখোঁজ ডায়েরির প্রেক্ষিতে তদন্তে নেমে পূর্ণিয়া সদর থানার পুলিশ মোবাইল ফোনের সূত্রে গোটা বিষয়টি জানতে পারে। উদ্ধার করা হয় মৃতের শরীরের পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষও। গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত নার্স সবিতা দেবীকে। পূর্ণিয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক পুষ্কর কুমার জানিয়েছেন, অভিযুক্ত সবিতা দেবী সবকিছুই স্বীকার করেছেন। এইদিন মৃতের পুড়ে যাওয়া দেহের অবশেষ ,ভাগলপুর থেকে আসা ফরেনসিক দলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা হয়েছে।