সানি সরকার, শিলিগুড়ি: বৃষ্টি শুরু হওয়ায় উত্তর সিকিমের সঙ্গে গ্যাংটকের (Gangtok) সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা কতদিন অক্ষত থাকবে, তা নিয়ে ঘোরতর আশঙ্কায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা (Tourism Business)। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে নতুন করে রাস্তা তৈরি করা না হলে এর প্রভাব পুজোর পর্যটনে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের রবিঝোরা থেকে ২৯ মাইল পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ। মেরামতির কাজ শেষ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় রাস্তা খুলে যাওয়ার কথা। ফলে ওই সময়ের আগে কালিম্পংয়ের পাশাপাশি সিকিমে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভরসা সেবক-গরুবাথান-আলগাড়ার রাস্তা। এরপরেও সিকিমে (Sikkim) এখন শুধুই কালোমাথার ভিড়।
সিকিম পর্যটন দপ্তর সূত্রে খবর, ৯০ শতাংশ হোটেল বুক হয়ে গিয়েছে। পূর্ব সিকিমের পাশাপাশি উত্তর সিকিমের বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার জন্য গ্যাংটকে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা। কিন্তু রাস্তার পরিস্থিতি দেখে অনেকেই উত্তর সিকিমের পথে পা বাড়ানোর সাহস দেখাতে পারছেন না। গ্যাংটক থেকে রাকডুং-তিবটেক হয়ে মংগন যাওয়ার ক্ষেত্রে একমাত্র অনুমতি দেওয়া হচ্ছে ছোট গাড়িকে। আবার টুংনাগা হয়ে মংগন ও চুংথাংয়ের রাস্তা বন্ধ। লাচেন থেকে চুংথাংয়ের রাস্তা খোলা থাকছে সকাল ৭টা থেকে ৮টা এবং বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। এমন বিধিনিষেধ রয়েছে উত্তর সিকিমের একাধিক রাস্তায়। বৃষ্টির মধ্যে ঝুঁকি এড়াতে একাধিক রাস্তায় বিধিনিষেধ কার্যকর করছে প্রশাসন। যার জন্য মাঝ রাস্তায় অনেককে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। লাচেনের হোটেল মালিক বিনোদ গুপ্তা বলেন, ‘সিকিমে এখন প্রচুর পর্যটক আসছেন। কিন্তু তার সুবিধা আমরা নিতে পারছি না। রাস্তা খারাপের জন্য অনেকেই লাচেনে আসতে চাইছেন না।’
সাউথ লোনাক লেক বিপর্যয়ের পর সাত মাস পেরিয়ে গেলেও রাস্তাগুলি কেন চলাচলের যোগ্য করে তোলা যাচ্ছে না, প্রশ্ন উঠছে। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘সিকিমে বেড়াতে আসার পরেই বেহাল সড়ক-যন্ত্রণার মুখোমুখি হতে হচ্ছে পর্যটকদের। এখনই যদি রাস্তার হাল ফেরানো সম্ভব না হয়, তবে তার প্রভাব কিন্তু পুজোর সময় পর্যটনেও পড়তে পারে।’