শিলিগুড়ি: ইন্টারন্যাশনাল জেনেটিক্যালি ইঞ্জিনিয়ারড মেশিন (আইজেম)-এ প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেলেন শিলিগুড়ির শুভানন বন্দ্যোপাধ্যায়। অক্টোবর মাসে প্যারিসে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে আইআইএসসি-র টিমের টিম লিডার হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এই মেধাবী। বর্তমানে আইআইএসসি বেঙ্গালুরুর স্নাতকের পড়ুয়া হাকিমপাড়ার বাসিন্দা শুভানন।
বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিন্থেটিক বায়োলজির উপর গবেষণা করে বিভিন্ন প্রোজেক্ট জমা দেওয়া হয় এই আইজেম-এর প্রতিযোগিতায়। সেখান থেকেই বেছে নেওয়া হয় সেরা প্রোজেক্ট। ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক স্তরের এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য গবেষণা শুরু করেছেন শুভানন ও তাঁর টিমের সদস্যরা। কৃত্রিম আরএনএ ব্যবহার করে কীভাবে ট্যাওপ্যাথির চিকিৎসা করা যাবে এ ব্যাপারে গবেষণার প্রোজেক্ট রয়েছে তাঁর। ট্যাওপ্যাথির (TAUPATHY) চিকিৎসার মধ্যেই পড়ে অ্যালজাইমারের মতো রোগ।
২০২৩ সালে সর্বভারতীয় প্রবেশিকার মাধ্যমে আইআইএসসিতে স্নাতকে ভর্তির সুযোগ পান সেবক রোডের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের এই প্রাক্তনী। এত কম সময়ের মধ্যে কীভাবে এই সাফল্য তা জানতে চাওয়া হলে শুভানন জানান, তিনি গবেষণামূলক কাজ করতে ছোট থেকেই আগ্রহী। আইআইএসসি বেঙ্গালুরুতে পড়ার সুযোগ পেয়ে এ ধরনের গবেষণামূলক কাজ করার পরিধি আরও বেড়ে গিয়েছে। আইজেম-এ অংশগ্রহণ করার জন্য নির্বাচিত প্রোজেক্টের উপর গবেষণা করতে হচ্ছে।
বর্তমানে যেখানে বেশিরভাগ পড়ুয়াই টিউশনভিত্তিক পড়াশোনা করছে সেখানে ব্যতিক্রমী শুভানন। স্কুল জীবনে কোনওদিন ইংরেজি বাদে বাকি বিষয়ের টিউশন পড়েননি তিনি। ভরসা রেখেছেন খুঁটিয়ে বই পড়ার ওপর। স্কুলজীবনে পাঠ্যপুস্তক পড়েই বিভিন্ন সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন এই মেধাবী। গবেষণার ক্ষেত্রেও একই পন্থা অবলম্বন করেছেন তিনি। তাঁর কাছে ভালো রেজাল্টের মূল মন্ত্র টিউশন নয়, বরং খুঁটিয়ে বই পড়া।
ছেলের এই সাফল্যে তাঁর বাবা শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ও মৌমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘ছোট থেকেই গবেষণামূলক কাজ করতে শুভানন ভালোবাসে। সেই স্বপ্নই ধীরে ধীরে সফল হচ্ছে।’ ভবিষ্যতে গবেষণা করতে চান এই মেধাবী পড়ুয়া।