শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ি শহরের তিনবাত্তি এলাকায় বাস টার্মিনাসের প্রকল্পিত জায়গার পাশে রাজ্য সরকারের জমি দখলের অভিযোগ উঠল রেলের বিরুদ্ধে। পুরো ঘটনাটি নিয়ে শিলিগুড়ি পুরনিগম শীঘ্রই পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে নবান্নে রিপোর্ট পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু করেছে। যদিও জমি দখলের অভিযোগ রেলের তরফে অস্বীকার করা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয পরিবহন সংস্থা ও শিলিগুড়ি পুরনিগম যৌথভাবে তিনবাত্তিতে নতুন টার্মিনাসের কাজ শুরু করেছে। মঙ্গলবার আর্কিটেক্ট পি আর মেহতাকে নিয়ে টার্মিনাসের কাজ পরিদর্শনে গিয়ে শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র গৌতম দেব রেলের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ তোলেন। টার্মিনাসের প্রস্তাবিত জায়গায় প্রবেশ পথের ডান হাতে বিতর্কিত জায়গাটি রয়েছে। পুরনিগম জায়গাটি নিজেদের বলে দাবি করেছে। গৌতম দেবের কথায়, জমির সমস্ত কাগজ আমাদের কাছে রয়েছে। রেলের কোনও এজেন্সি আমাদের জমি দখল করে কাজ করেছিল। রেলকে চিঠি দিয়ে তাদের দখল করা জাযগা ছেড়ে দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারপরও রেল জায়গা ছাড়েনি। শিলিগুড়িতে আমরা এই কাজ মানব না। প্রযোজনে জমি দখলের বিরুদ্ধে শহরের মানুষকে নিয়ে পথে নামব।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চেয়ে এডিআরএম(এনজেপি) সঞ্জয় চিলওয়ারওয়ারকে বারংবার ফোন করা হলে তিনি ফোন না ধরায় তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারীক সব্যসাচী দে বলেন, ‘রেল কারও জায়গা দখল করে না। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য আমাদের চিঠি দিলে অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।’ তিন একর জায়গার ওপর তিনবাত্তিতে বাস টার্মিনাস তৈরি হচ্ছে। যেখানে শিলিগুড়ির কোর্ট মোড়ের বাস টার্মিনাসটি স্থানান্তরিত করে নিয়ে যাওয়া হবে। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের বাসও সেখান থেকে ছাড়বে। পরিবহণ দপ্তর সূত্রে খবর, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুযার সহ বেশ কিছু রুটের বাস নতুন বাস টার্মিনাস থেকে ছাড়বে। মোট ২৩টি বাস বে তৈরি করার কথা রয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ১৫টি বাস বে তৈরি হয়ে গিয়েছে। দুটি শৌচালয়ের কাজ চলছে। দিল্লি থেকে ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে এসে পুরো পরিকল্পনা করা হয়েছে। গৌতম দেব বলেন, ‘তিনটি পর্যায়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা খরচ করে টার্মিনাসের কাজ হবে। প্রথম পর্যায়ে ১ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে।’