ময়নাগুড়িঃ টর্নেডোর তাণ্ডবে একপ্রকার ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ময়নাগুড়ি ব্লকের বার্নিশ গ্রাম। ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে দিন কাটাচ্ছেন গ্রামের মানুষজন। বর্তমানে গবাদিপশুকে সঙ্গে নিয়েই রাত্রিবাস করছে না তাঁরা। এরমধ্যেই নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বিষধর সাপের। ঝড়ের পর থেকে বার্নিশ গ্রামে উদ্ধার হচ্ছে একেরপর এক বিষধর সাপ। সাপ উদ্ধারে এগিয়ে এসেছে ময়নাগুড়ি রোড পরিবেশপ্রেমী সংস্থা।
জানা গিয়েছে, প্রবল ঝড়ে বিধ্বস্ত ময়নাগুড়ির বার্নিশ গ্রামে শুরু হয়েছে সাপের উপদ্রব। ধংসস্তূপের পাশে ত্রিপল টাঙিয়ে রাত্রিবাস করছেন দুর্গতরা। আর এই বিপর্যয়ের পর ধ্বংসস্তুপেই আশ্রয় নিয়েছে অজস্র বিষধর সাপ। গতকাল বিকেলে এই গ্রামেরই বাসিন্দা দীনবালা রায়কে সাপে কাটে। বর্তমানে তিনি ময়নাগুড়ি গ্রামীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বুধবারও এই গ্রামের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে একটি সাপ নজরে আসে স্থানীয় দের। খবর দেওয়া হয় ময়নাগুড়ি রোড পরিবেশপ্রেমী সংস্থাকে। তাঁরা এসে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে একটি বিষধর গোখরো। এরপর সাপটিকে নিরাপদ স্থানে ছেড়ে দেন সংস্থার সদস্যরা।
এদিন পরিবেশপ্রেমী সংস্থার সম্পাদক নন্দু রায় বলেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে মানুষের মতো সাপও আশ্রয় নিয়েছে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে। এরফলে সাধারন মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গত তিন দিনে মোট ৯টি বিষধর গোখরো সাপ উদ্ধার হয়েছে বার্নিশ থেক। অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সাপের কামড়ের হাত থেকে বাঁচতে সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।