উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ সাত বছর পর ফের এক বিরল মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী থাকবে গোটা বিশ্ব। দিনের বেলায় নেমে আসবে ঘুটঘুটে অন্ধকার। ঢাকা পড়বে সূর্য। বছরের প্রথম দীর্ঘতম পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ (solar eclipse) হতে চলেছে সেই দিন। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই প্রথম দীর্ঘ সময় ধরে চলবে সূর্যের পূর্ণগ্রাস। চাঁদের ছায়ায় ঢাকা পড়বে সূর্য। পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ বিরল। চাঁদের ছায়া পুরোপুরি ঢেকে দেবে সূর্যকে। আধ টুকরো হয়ে ভ্যানিশ হয়ে যাবে সূর্য। সাড়ে সাত মিনিট ধরে স্থায়ী হবে এই পূর্ণগ্রাস গ্রহণ।
সেই দিনটি চলতি বছরের ৮ এপ্রিল। গত সাত বছরে দ্বিতীয়বার এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হতে চলেছে। সেদিন চাঁদ ও পৃথিবীর দূরত্ব অনেকটাই কমবে। ভারত থেকে এই বিরল দৃশ্য দেখার কোনও আশা নেই। এই বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহন দেখা যাবে মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলবর্তী এলাকায়। স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৭ মিনিট নাগাদ সর্বপ্রথম পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। চাঁদের ছায়া উত্তর-পূর্ব দিকে সরে যাওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র টেক্সাসে দুপুর ১:২৭ মিনিটে পূর্ণগ্রাস দেখা যাবে এই গ্রহন। ভারত বা ভারতের কোনও প্রতিবেশী দেশ থেকে এই গ্রহণ দেখার সম্ভাবনা নেই। মেক্সিকো বাদ দিয়ে পূর্ণগ্রাস গ্রহণ দেখা যাবে পশ্চিম ইউরোপ প্যাসিফিক, আটলান্টিক, আর্কটিক মেক্সিকো, উত্তর আমেরিকা কানাডা, মধ্য আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকার উত্তরাঞ্চল, ইংল্যান্ডের উত্তর পশ্চিম অঞ্চল এবং আয়ারল্যান্ডে।
সূর্যের পূর্ণগ্রাস দেখতে পাওয়াটা সহজ কথা নয়। ১৮ মাস পর পর একটি করে পূর্ণগ্রাস হয় সূর্যের। সূর্যের মুখ পুরোপুরি ঢেকে দেয় চাঁদ। তার ফলে, দৃশ্যমান হয়ে ওঠে সূর্যের বায়ুমণ্ডল বা করোনা। যা এক বিরল দৃশ্য। সূর্যের কখনও আংশিক গ্রাস হয়, কখনও পূর্ণগ্রাস, আবার কখনও বলয়গ্রাস বা ‘রিং অফ ফায়ার’। আর যদি তিনটেই পরপর ঘটতে থাকে তাহলে তাকে বলে হাইব্রিড বা শংকর সূর্যগ্রহণ। সূর্যের সোনালি বৃত্ত চাঁদের ছায়াকে ছাপিয়ে দেখা যায় চারপাশ থেকে। মাঝখানটা হয় ঘন কালো এবং তার চারপাশ থেকে সোনালি আলো বিচ্ছুরিত হয়। ১০০ বছর অন্তর ঘটে এমন বিরল মহাজাগতিক ঘটনা। সাত বছর আগে আমেরিকায় যে সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছিল তা ২ মিনিট ৪২ সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল।