ফালাকাটা: বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ বিষহরা (পদ্মপুরাণ) গানের শিল্পী কান্দুরি বর্মন। ফালাকাটার কালীপুরের শতায়ু এই শিল্পী ক’দিন ধরেই শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছেন। ভালোভাবে কথাও বলতে পারছেন না। পারিবারিক অবস্থাও ভালো নয়। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে জনপ্রতিনিধিদের কেউ আর শিল্পীর খোঁজ নেয় না। যা নিয়ে আক্ষেপ রয়েছে শতায়ু শিল্পীর। উত্তরবঙ্গ সংবাদে এমন খবর প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসলেন ফালাকাটার জনপ্রতিনিধিরা। সোমবার কালীপুরে প্রবীণা ওই লোকশিল্পীর বাড়িতে আসেন ফালাকাটার বিজেপির বিধায়ক দীপক বর্মন। বিধায়কের তরফে এক বস্তা চাল সহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়। এদিন সন্ধ্যায় শিল্পীর বাড়িতে আসেন তৃণমূল পরিচালিত ফালাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুভাষচন্দ্র রায়। পঞ্চায়েত সমিতির তরফেও খাদ্য সামগ্রীর পাশাপাশি গরমের পোষাক দেওয়া হয়।
কিন্তু এমন একজন লোকশিল্পী জীবন সায়াহ্নে পৌঁছে আজ পর্যন্ত কেন্দ্র বা রাজ্য, কোনও সরকারের তরফেই সেরকম স্বীকৃতি পাননি। শিল্পী এখন শয্যাশায়ী। কান্দুরির পুত্রবধূ পার্বতী রায় বর্মন জানান, মায়ের গোটা জীবন বিষহরা গান নিয়েই। এতদিন কেউ খোঁজ নেননি। এদিন অনেকেই বাড়িতে আসেন৷ তবে আমাদেরও আক্ষেপ, শিল্পী হিসেবে মা আজও কোনও সরকারি স্বীকৃতি পাননি।
এনিয়ে অবশ্য শাসক-বিরোধী শিবিরে রাজনৈতিক তর্জাও শুরু হয়েছে৷ বিজেপির বিধায়ক দীপক বর্মনের বক্তব্য, যিনি লোকশিল্পকে অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন, বাঁচিয়ে রেখেছেন। আজকে তাঁর যা পরিণতি দেখলাম সেটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। রাজ্য সরকারের স্বীকৃতি তাঁর অনেক আগেই পাওয়া উচিত ছিল।’ বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অবশ্যই তুলে ধরবেন বলে তিনি জানান। এদিকে ফালাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুভাষচন্দ্র রায়ের বক্তব্য, ‘রাজ্য সরকার লোকশিল্পীদের যথেষ্ট মর্যাদা দিচ্ছে। বরং সাংসদ, বিধায়ক বিজেপির হলেও কেন্দ্রীয় সরকার এক্ষেত্রে নজর দেয়নি। তবে এই লোকশিল্পীর বিষয়টি রাজ্য প্রশাসনকে জানানো হবে।’