সৌরভ দেব, জলপাইগুড়ি: নিজের স্কুলের সরস্বতী প্রতিমা তৈরি করেছে ছাত্র। আবার পুরোহিতের ভূমিকায়ও স্কুলেরই আরেক ছাত্র। মোটামুটি আত্মনির্ভর স্কুল বলা যেতে পারে আর কী। এভাবেই সরস্বতীপুজোর (Saraswati puja) আয়োজন হতে চলেছে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহরের দেশবন্ধুনগর উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। সেখানকার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী জ্যোতির্ময় দাস নিজের বাড়িতে প্রতিমা তৈরি করছে। গত তিন বছর ধরে স্কুলের সরস্বতী সেই বানাচ্ছে। অন্যদিকে, এবারই প্রথম স্কুলের পুজো করার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে দশম শ্রেণির ছাত্র সুজয় চক্রবর্তী।
বুধবারই সরস্বতীপুজো। শহরের স্কুল-কলেজগুলোতে চলছে তারই জোর প্রস্তুতি। বাদ নেই দেশবন্ধুনগর (Deshbandhunagar) স্কুলও। সুজয়ের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তিন বছর ধরে সরস্বতীপুজো, লক্ষ্মীপুজো, বিশ্বকর্মাপুজোর দিনগুলোতে সে রীতিমতো পেশাদার পুরোহিতের ভূমিকা পালন করছে। তার এই প্রতিভার কথা সহপাঠীদের মাধ্যমে শিক্ষকদের কানে পৌঁছায়। আর তারপরেই স্কুলের ছাত্রকে দিয়ে পুজো করানোর সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষকরা।
অন্যদিকে, গত তিন বছর ধরে স্কুলের সরস্বতী প্রতিমা বানাচ্ছে জ্যোতির্ময়। পান্ডাপাড়ার ১১ নম্বর গলিতে তার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, প্রতিমা তৈরির শেষ মুহূর্তের কাজ করছে সে। ইতিপূর্বে ছোট দুর্গা প্রতিমা বানিয়ে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে জ্যোতির্ময়। এবার স্কুলের জন্য প্রায় সাত ফুট উচ্চতার প্রতিমা বানিয়েছে। গত তিন বছর ধরে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রতিমা বানিয়ে দিচ্ছে সে।
উচ্চমাধ্যমিকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার আগে কীভাবে প্রতিমা তৈরির সময় বের করছে জোতির্ময়? উত্তরে জানাল, প্রায় তিন মাস আগে থেকে এই প্রতিমা তৈরি শুরু করেছিল সে। পড়াশোনার পর অবসর সময় প্রতিমার কাজ করেছে। প্রধান শিক্ষক অরিন্দম রায় বলেন, ‘দুই ছাত্রের ভূমিকা আমাদের কাছে অত্যন্ত গর্বের।’