উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: এসএসসি (SSC) নিয়োগ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছিল রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। সেই চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা সরকার। কিন্তু ববিতার চাকরিও স্থায়ী হয়নি। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর সেই চাকরি পেয়েছিলেন শিলিগুড়ির অনামিকা রায়। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) এসএসসি মামলায় এক ধাক্কায় ২০১৬ সালের সমস্ত নিয়োগ বাতিল করায় চাকরি হারালেন সেই অনামিকাও। তাই এই রায় শোনার পর যথেষ্টই হতাশ তিনি। এদিন তিনি প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, অযোগ্যদের জন্য যেভাবে যোগ্যরাও ভুক্তভোগী হলেন সেটা মেনে নেওয়া যায় না। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেলাগাম দুর্নীতির কারণেই গোটা বিষয়টা এই জায়গায় গিয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৪ নভেম্বর তালিকার একেবারে তলার থেকে ওপরে উঠে এসে শিক্ষিকা হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী। প্রায় চার বছর চাকরি করেন অঙ্কিতা। কিন্তু তাঁর চাকরি নিয়ে আদালতে মামলা হয়। শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে চাকরি থেকে পদত্যাগ করে বেতন হিসেবে পাওয়া টাকা ফেরাতে হয় অঙ্কিতাকে। অঙ্কিতার ছেড়ে দেওয়া চাকরি পান মামলাকারী ববিতা সরকার। কিছুদিন চাকরি করেন তিনিও। পরে ববিতা সরকারের অ্যাকাডেমিক নম্বর ত্রুটিপূর্ণ থাকায়, তাঁকে দেওয়া চাকরি ফিরিয়ে নেয় আদালত। সেই চাকরি অনামিকা রায়কে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়ে চাকরিতে যোগ দেন অনামিকা। কিন্তু এসএসসি মামলায় (SSC recruitment case) এদিনের রায়ে সেই অনামিকারও চাকরি চলে গেল।
যদিও রায়ে ২০১৬ সালের সমস্ত প্যানেলটাই পুনর্মূল্যায়ন করার নির্দেশ দিয়েছেন দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তাতে যাঁরা যোগ্য তাঁরা সকলেই চাকরি পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া কতদিনে সম্পন্ন হবে প্রশ্ন সেটাই।