কলকাতা: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে মাত্র ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।অর্থাৎ জেলা প্রতি মাত্র ১ কোম্পানি। মনোনয়ন পর্বে ভাঙর, ক্যানিং সহ রাজ্যেের বিভিন্ন অংশে যেভাবে অশান্তি হয়েছে, তা দেখে বিরোধীদের প্রশ্ন, মাত্র ২২ কোম্পানি বাহিনী দিয়ে কি শান্তিপূর্ণ ভোট করা সম্ভব হবে?
১০ বছর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল খোদ কমিশন। মীরা পাণ্ডে ছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। সেই বছর রাজ্যে ৮২৫ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করেছিল কমিশন। ২০১৩ সালে পাঁচ দফায় ভোট হয়েছিল। এবার ভোট হচ্ছে এক দফায়।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এবার রাজ্যে ৬১ হাজার ৬৩৬ টি বুথে পঞ্চায়েত নির্বাচন আয়োজিত হবে। এক কোম্পানি বাহিনীতে যদি গড়ে ১০০ জন করে সদস্য থাকেন, তাহলেও সদস্য সংখ্যা হয় ২২০০ জন। অর্থাৎ সব বুথে বাহিনী পৌঁছোনো প্রায় অসম্ভব। ফলে প্রশ্ন উঠছে, মাত্র ২২ কোম্পানি বাহিনী দিয়ে কীভাবে শান্তিপূর্ণ ভোট করা যাবে?
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা নিয়ে চলেছে আইনি লড়াই। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পরই রাজ্য নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে বাহিনী চেয়ে আবেদন করে। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে রাজ্যে বাহিনী পাঠাচ্ছে কেন্দ্র।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের কথা তো মানতেই হবে। তাই কমিশন অনেকটা ‘ধরি মাছ, না ছুঁই পানি’ ঢংয়ে অল্প সংখ্যক বাহিনী চেয়ে নির্দেশ পালন করেছে। বুধবার থেকেই বাহিনী নামবে বলে জানা গিয়েছে।