মাথাভাঙ্গা: মাথাভাঙ্গা (Mathabhanga) শহরে পুরসভার নিকাশিনালার উপর বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিল পুরসভা। সোমবার নিকাশিনালার উপর যে কোনও বেআইনি নির্মাণ (Illegal construction) ভেঙে ফেলার জন্য সাতদিন সময়সীমা (Time limit) বেঁধে দিল পুরসভা।
উল্লেখ্য, এক মাসের বেশি সময় আগে মাথাভাঙ্গা পুরসভা কার্যালয় সংলগ্ন ইমিগ্রেশন রোডে বিএসএনএল অফিসের সামনে পুরসভার নিকাশিনালার উপর প্রকাশ্যে কংক্রিটের ছাদ দিয়ে ঘর নির্মাণ হতে থাকলেও বিষয়টি নজরে আসেনি পুর কর্তৃপক্ষের। এবিষয়ে উত্তরবঙ্গ সংবাদ খোঁজখবর শুরু করতেই নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রবীর সরকার। তিনি নির্মাণকাজ স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি বিষয়টি পুরসভার চেয়ারম্যান লক্ষপতি প্রামাণিকের নজরে আনেন।
এরপর বেআইনি নির্মাণের জন্য ছ’জন ব্যবসায়ীকে পুরসভার তরফে নোটিশ দেওয়া হয়। অভিযুক্ত ছ’জন ব্যবসায়ীর মধ্যে দুজন নোটিশের উত্তর দিলেও বাকি চারজন পুরসভার নোটিশের উত্তরই দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি। বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কেন পুর কর্তৃপক্ষ কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অবশেষে চাপের মুখে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেওয়ার সাতদিনের সময় বেধে দিল পুরসভা।
এপ্রসঙ্গে লক্ষপতি প্রামাণিক বলেন, ‘সাতদিনের মধ্যে কোনও ব্যবসায়ী বেআইনি নির্মাণ না ভাঙলে পুরসভা ওই নির্মাণ ভেঙে দেবে। আর ভাঙার খরচ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীকেই বহন করতে হবে।’
দেরিতে হলেও বেআইনি নির্মাণ নিয়ে পুরসভার কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্তকে শহরের সচেতন মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছেন। তবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ, পুরসভার তরফে অনেকবার এধরনের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হলেও অনেক ক্ষেত্রেই বাস্তবায়িত করতে পারেনি। বিজেপি নেতা মনোজ ঘোষ বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত না বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে পুরসভা অভিযান করছে ততক্ষণ তাদের ঘোষণা বিশ্বাসযোগ্য নয়।’
ছবিঃ মাথাভাঙ্গা শহরের ইমিগ্রেশন রোডে পুরসভার ড্রেনের ওপর এই বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে ৭ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিল মাথাভাঙ্গা পুরসভা (Mathabhanga municipality)।