উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: মুইজ্জু সরকারের ‘ভারত-বিরোধী’ (Anti-India Stance) মনোভাব দ্বীপ রাষ্ট্রের উন্নয়নের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। মালদ্বীপের দু’টি প্রধান বিরোধী দল এই সতর্কবার্তা জারি করেছিল। তাঁর ঠিক দু’দিন বাদেই সেখানকার প্রশাসন ঘোষণা করল আগামী মাসেই একটি চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ (Chinese Ship) প্রবেশ করতে চলেছে মালদ্বীপ বন্দরে। প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর এই ভারতবিরোধী মনোভাবের জন্য প্রবল নিন্দার মুখে পড়তে হল তাঁর সরকারকে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফরের পর ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এই ঘটনার পর চিনা জাহাজকে মালদ্বীপে (Maldives) আমন্ত্রণ জানানোয় আগুনে কার্যত ঘি ঢালল মুইজ্জু সরকার। এই সিদ্ধান্তে প্রবল প্রতিবাদ জানিয়েছে মালদ্বীপের ডেমোক্রেটিক পার্টি সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি। এই বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে ভারতকে মালদ্বীপের সবচেয়ে দীর্ঘ ‘স্থায়ী মিত্র’ বলা হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, “মালদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টি (MDP) অন্যান্য ডেমোক্র্যাটরা মনে করে দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সহযোগী দেশকে দূরে সরিয়ে দিলে তা আমাদের জন্যই ক্ষতিকর হবে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে দেশের উন্নয়নে। মালদ্বীপ সরকারকে অবশ্যই তার উন্নয়নে সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করতে হবে যেভাবে এতদিন ঐতিহ্যগতভাবে করে এসেছে।”
এদিকে চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজকে মালদ্বীপে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত ভারত। ভারতের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রের খবর, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ‘শিয়াং ইয়াং হং ৩’ নামের এই চিনা জাহাজ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঢুকে পড়বে। জাহাজটি যাতে কোনও ভাবেই ‘সমুদ্র গবেষণা’ চালাতে না পারে সেদিকে নজর রাখছে ভারতীয় নৌবাহিনী।
প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর (Muizzu) এই ভারত বিরোধী মনোভাব মোটেই ভালভাবে দেখেননি মালদ্বীপের বিরোধী দলগুলি। এরফলে কার্যত নিজের দেশেই একঘরে হলেন মুইজ্জু সরকার।